একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দেয়া মুফতি রুহুল আমীন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বঞ্চিতই করা হলো। নৌকার টিকিট পেলেন বর্তমান এমপি কবিরুল হক মুক্তি।
জানা যায়, এ আসনে কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গার চেয়ারম্যান ও গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক মুফতি রুহুল আমীনসহ ২২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। কিন্তু সোমবার মুক্তির প্রার্থিতার বিষয়টি দলের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, কওমি মাদরাসা শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দেয়ায় গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত শোকরানা মাহফিলে মুফতি রুহুল আমীন বলেন,‘বঙ্গবন্ধুকন্যা আপনি স্বীকৃতি দিয়েছেন, সবকিছু উপেক্ষা করে। অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন, তার জবাব দিয়েছেন। ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর জননীর ভূমিকা আপনি (শেখ হাসিনা) পালন করেছেন। আজকে কওমি মহাসমুদ্রে আমি ঘোষণা করতে চাই, আপনি কওমি জননী। আজ থেকে আপনাকে এ উপাধি দিলাম। ’
এদিকে আমাদের নড়াইল সংবাদদাতা জানিয়েছেন, কবিরুল হক মুক্তি তার ফেসবুক আইডিতে দলের মনোনয়নপত্রের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন- ‘আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন টিকিট পেলাম। জনগণের ভালবাসা ছিল, তাই জননেত্রীর ভালবাসা পেলাম। কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আমাদের সকলের আস্থা ও ভরসা জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, সকল বন্ধুবান্ধব এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি। আমি মনোনয়ন পেয়েছি তাই বলে এই নয়, আমি এমপি হয়ে গেছি। সকলের প্রতি আমার আহবান, যারা প্রতিযোগিতায় থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছে; তাদের সকলকে নিয়ে একসাথে কাজ করব এবং সকলে করবেন। মনে রাখবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা যেমন আমাদের নড়াইল দু’টি আসনে আমাকে এবং আমার স্নেহের ছোট ভাই আপনাদের সকলের ভালোবাসার মানুষ মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নৌকা দিয়েছেন; আমরাও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নড়াইলের দু’টি সিট উপহার দিবো। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
কবিরুল হক মুক্তি ও মুফতি রুহুল আমীন ছাড়া এ আসন থেকে যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোল্যা ইমদাদুল হক, নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মফিজুল হক, কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান খান শামীম রহমান, কালিয়া পৌরসভার মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন, সাবেক মেয়র বিএম একরামুল হক টুকু, কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম হারুনার রশীদ, সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা: আব্দুল মান্নান, অবসরপ্রাপ্ত লে. কমান্ডার ওমর আলী, শ্যামল দাস টিটু, ফোরকান মোল্যা, এমদাদুল ইসলাম, প্রকৌশলী শেখ মিজানুর রহমান, কাজী মুশফিকুর রহমান, সৈয়দ আবিদুল ইসলাম, এফ এম শাহীন ও হাসনাত এ চৌধুরী।