নোয়াখালীতে চার বাড়ি লকডাউন, চট্টগ্রামে নমুনা প্রেরণ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার দক্ষিণ চর মজিদ গ্রামে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত এক ব্যক্তির বাড়িসহ চারটি বাড়ি লকডাউন করেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। রোববার ওই চার বাড়িতে লাল পতাকা উত্তোলন করে বাড়িগুলো পুলিশের নজরদারিতে রাখা হয়। এ সময় হ্যান্ড মাইকে আশপাশের লোকজনকে প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়।

সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম ইবনুল হাসান ইভেন জানান, ৩৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি পেশায় অটোরিকশা চালক। তিনি গত ছয় দিন থেকে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। প্রথমে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে ভালো না হওয়ায় দুইদিন আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শায়লা সুলতানা ঝুমার পরামর্শ অনুযায়ী আক্রান্ত ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম ফৌজদার হাট অবস্থিত সংক্রামক ব্যাধী হাসপাতালে (বিআইটিআইডি) নমুনা পাঠানো হয়।

সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শায়লা সুলতানা ঝুমা জানান, গত দু’দিন আগে জ্বর নিয়ে ওই অটোরিকশা চালক রাতে স্থানীয় একটি চেম্বারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সাব্বিরের কাছে আসেন। তিনি গত ছয়দিন যাবত সর্দি, কাশি ও জ্বরে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন। পরে ডাক্তার সাব্বির তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে বললে তিনি হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ী থাকেন।

পরে স্থানীয় এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে রোববার দুপুরে ওই ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে রবিবার বিকেলে চট্টগ্রাম ফৌজদার হাট অবস্থিত সংক্রামক ব্যাধী হাসপাতালে (বিআইটিআইডি) নমুনা পাঠানো হয়েছে। আগামী তিন দিন পর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেলে তার শরীরে করোনা আছে কিনা জানা যাবে।

Share this post

scroll to top