করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতার লক্ষ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা এমনকি দেশের সরকারি বেসরকারিসহ সকল ধরণের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও ময়মনসিংহের ভালুকার বেশ কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়নি।
এব্যাপারে শ্রমিকরা মিল কর্তৃপক্ষকে বার বার অনুরোধ করলেও চাপের মুখে তাদের কাজ করানোর অভিযোগে শনিবার দুপুরে মহাসড়ক অবরোধ ও মিলগেইটে বিক্ষোভ মিছিল করেন কটন গ্রুপ ও ক্রিস্টাল মার্টিনের শ্রমিকরা।
উপজেলার হবিরবাড়ি এলাকার আমতলিতে অবস্থিত কটন গ্রুপের বিক্ষোভরত শ্রমিকরা জানান, করোনাভাইরাসের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ দেশের সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও ভালুকার অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়নি। বার বার অনুরোধ করা সত্বেও চাপের মুখে তাদেরকে দিয়ে করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মাঝে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে কটন গ্রুপের কয়েক’শ শ্রমিক প্রথমে মিলগেইটে এবং পরে তারা মহাসড়কে গিয়ে অবরোধসহ বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এদিকে দুপুর আড়াইটায় একই দাবিতে উপজেলার সিডস্টোর উত্তর বাজার এলাকায় অবস্থিত ক্রিস্টাল মার্টিনের শ্রমিকরাও মিল গেইটে বিক্ষোভ শুরু করেন।
পরে ভালুকা মডেল থানা ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তাছাড়া হামিদ গ্রুপ, স্কয়ার ফ্যাশন ও রাসেল গ্রুপের ইকরাম সুয়েটারসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের চাপের মুখে কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে।
শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, কোন ধরণের সুরক্ষা ছাড়াই ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ তাদের চাপের মুখে কাজ করাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে হামিদ গ্রুপের অ্যাডমিন ম্যানেজার শাহজাহান নোমান জানান, ফ্যাক্টরী বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা নেই, তাই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
শিল্পপুলিশ ময়মনসিংহ অঞ্চল-৫ এর পুলিশ সুপার (এসপি) সাহেব আলী পাঠান জানান, শ্রমিকরা ছুটির জন্য বিক্ষোভ করছেন। যেহেতু সরকার বাধ্যতামূলক কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেননি, তাই মিল কর্তৃপক্ষও ছুটি দিতে চাচ্ছেন না। তবে এ ব্যাপারে মিল কর্তৃপক্ষের কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।