দেশে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মাদকে আসক্ত রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১৪ লাখই নারী। ভয়বহ বিষয় হচ্ছে পুরুষের সাথে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে নারী মাদকাসক্তির সংখ্যা। রোববার মোহাম্মদপুরের ওয়াইডাব্লিওসিএ মিলনায়তনে মাদকাসক্ত নিরাময় ও পনর্বাসন কেন্দ্র ‘বারাকা’ আয়োজিত ‘নারী মাদসক্তির বর্তমান প্রেক্ষাপট ও এর প্রেক্ষিত’শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বারাকার পরিচালক ব্রাদার রবি পিউরিফিকেসন সিএসসি’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইন্সটিউটিউ অফ মেন্টাল হেলথ এর হেড অফ সাইকোথেরাপি প্রফেসর ডা. মুহিত কামাল। বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মাদকাসিক্ত নিরাময় কেন্দ্রের রেসিডেন্সিয়াল সাইকিয়াট্রিক্স ডা. মো: রেহেনুল ইসলাম, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খুরশিদ আলম ও মাদক থেকে ফিরে আসা কয়েকজন নারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
বক্তারা বলেন, দেশে পুরুষ মাদক সেবীদের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নারী মাদকাসক্তি সংখ্যা। পুরুষদের ক্ষেত্রে বিষয়টি প্রকাশ পেলেও সহজে প্রকাশ পাচ্ছে না নারী ক্ষেত্রে। বিশেষ কোন নারী মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে প্রাথমিক ভাবে পরিবারের সদস্যরা তা বিশ্বাস করতে চান না। পরে বিষয়টি মারাক্তক পর্যায়ে পৌঁছে গেলে সবার টনকনড়ে। এক্ষেত্রে বেশির ভাগ পরিবারই লোক-লজ্জা ও সমাজের ভয়ে তা প্রকাশ করতে চান না।
বারাকার এডিকেটর শেফা বলেন, বেশির ভাগ নারী বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে, স্বামীর কারনে, প্রেমে বিচ্ছেদ হওয়া ও বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের কারনে মাদক সেবন করছে বলে জানা যায়। আবার নারীদের অপর একটি গ্রুপ রয়েছে যারা নিজেদের ফিগার স্লিম করার জন্য বিভিন্ন মাদক গ্রহন করতে কতে এক সময় আসক্তিতে পরিনত হচ্ছে। পুরুষের থেকে নারীদের আসক্তি শক্তি বেশি হওয়ায় তারা মাদক না পেলে পাগলের মত আচারন করতে থাকে।
বক্তরা বলেন, সমাজ থেকে মাদক নির্মুল করতে হলে সবার আগে বাবা-মা ও পরিবারকে সচেতন হতে হবে। সন্তানদের সাথে বন্ধুসুলভ আচারন করতে হবে। কি ধরনের বন্ধুদের সাথে মেলামেশা করছে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারন যতই মানুসিক অশান্তি হোক না কেন শেষ পর্যন্ত বন্ধুদের পাল্লায় পড়েই মাদকে হাতিখড়ি হয়ে থাকে।