বেনাপোল স্থলবন্দরে আটকা পড়েছেন শতাধিক কাশ্মীরি মেডিকেল শিক্ষার্থী। তারা ভারতে ঢুকতে চেয়েও পারেননি। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকজন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী। অথচ এখবরটি জানেননা ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. চিত্তরঞ্জন দেবনাথ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ওই শিক্ষার্থীদের পাসপোর্ট ও ভিসা যাচাই করে তাদের ছেড়ে দেয়ার পর স্থলবন্দরের ভারত অংশে অর্থাৎ পেট্রাপোল থেকে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। কাশ্মীরের এসব শিক্ষার্থী সবাই বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা করেন।
প্রচুর ভারতীয় নাগরিক সোমবার তাদের নিজ দেশে ঢুকেছে। কিন্তু বিপত্তি হয়েছে মঙ্গলবার সকালে যখন কাশ্মীরের ছাত্রছাত্রীরা ভারত ঢুকতে যায়।
ভারতের ইমিগ্রেশন বলছে, ভারতের সিদ্ধান্ত পেট্রাপোল এখন কাউকে নিতে পারবে না। আর কেউ বের হলেও তাকেও নেবে না। একেবারে লকডাউন।
কাশ্মীরের শিক্ষার্থীরা বেনাপোলের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে বলছেন, তারা কাল জানতে পেরেছে এবং তারা দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলে এসেছে। সবার কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট, লিগ্যাল ভিসা; আমরা এখন কী করব জানি না।
বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আটকেপড়া শিক্ষার্থীদের অর্ধেকই নারী, তারা সবাই এখন বন্দরের বাইরে বারান্দায় অপেক্ষা করছেন।
এব্যাপারে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ এর প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. চিত্তরঞ্জন দেবনাথ ময়মনসিংহ লাইভকে বলেন, ব্যাপারটি আমার নলেজে নেই। শুধু তারা বলছিলো আমাকে, তারা স্পেশাল ফ্লাইটে তাদরে নিজ দেশে যাবেন। তবে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে কতোজন শিক্ষার্থী ভারতসহ অন্যান্য দেশের রয়েছে তার হিসেব দিতে পারেননি তিনি। তবে তিনি নিশ্চিত এসব শিক্ষার্থী তাদের নিজ দেশে যেতে পারবেনা।