সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মঙ্গলবার থেকে সেনাবাহিনী নিয়োজিত করছে সরকার। এ সময় বিদেশ থেকে ফেরত আসা ব্যক্তির অবস্থান নির্ণয় ও তাদের নিজ নিজ অবস্থানে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করাই হবে সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য।
সোমবার আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ লক্ষ্যের কথা বলা হয়। রাতে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সেনাবাহিনীর গৃহীত কার্যক্রমের বর্ণনা দেওয়া হয়।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থার জন্য বেসরকারি প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সেনাবাহিনী নিয়োজিত হবে। বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোয় সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থার জন্য বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হবে।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবারই নির্ধারিত ব্রিগেড কমান্ডারেরা বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করবেন। পরদিন দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিট অধিনায়কেরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন ও সিভিল সার্জনদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করবেন এবং সেনা মেডিকেল অফিসার সমন্বয় দলের সঙ্গে যাবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনীর পাঠানো সমন্বয় দলগুলো বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন কর্মসূচি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের সমন্বয়ে একটি কার্যকর পরিকল্পনা নেবে। সেই পরিকল্পনা নেওয়ার সময় বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে। এগুলোর মধ্যে প্রথমেই আছে, জেলার করোনা পরিস্থিতির ওপর জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি মূল্যায়ন এবং এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন ও ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা। দ্বিতীয় বিষয়, জেলা প্রশাসনে রাখা গত এক মাসে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের পরিসংখ্যান ও বিস্তারিত তথ্য।। তৃতীয় বিষয়, জেলায় সেলফ কোয়ারেন্টিনের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের পরিসংখ্যান। চতুর্থ, সেলফ কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের নেওয়া পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি। পঞ্চম, সেলফ কোয়ারেন্টিনের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এমন ব্যক্তিদের পরিসংখ্যান। ষষ্ঠ বিষয়, কোয়ারেন্টিন কর্মসূচি নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রগুলো। আর সর্বশেষটি হলো, দায়িত্বে যেসব ব্যক্তি থাকবেন তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সংখ্যা ঠিক করা।