ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কে রাতের আঁধারে প্রথমে চলন্ত গাড়িতে ইট দিয়ে ঢিল ছোড়া হয়। এরপর গাড়ি থামলে চালক, হেলপার ও যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাশের গভীর গজারি বনের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়। সর্বস্ব লুট করার পরও থামে না তারা। অত:পর বিকাশের মাধ্যমে স্বজনদের কাছ থেকে আরও টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে এমন ঘটনা প্রায় প্রতিদিনের। গত রোববার রাতে সংঘবদ্ধ এ ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের গুলিবিনিময় হয়েছে। এতে এক পুলিশ সদস্য ও এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পরে গুলিবিদ্ধ ডাকাত শরীফকে আটক ও মালপত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গেছে, গত রোববার রাতে ফ্রিজ ও টিভি বোঝাই একটি পিকআপকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে ডাকাতরা। গাড়ি থামলে অস্ত্রের মুখে চালক, হেলপার এবং ফ্রিজ ও টিভির মালিককে বনের ভেতরে নিয়ে সব কিছু লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় স্বজনদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেয় তারা। খবর পেয়ে গাজীপুর সদর থানা পুলিশ সেখানে গেলে ডাকাত দল ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাদের পিছু নেয়। একপর্যায়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে এসআই জহিরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। আর পুলিশের ছোঁড়া গুলি ডাকাত শরীফের পায়ে লাগে।
গাজীপুর মহানগরের সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর ভূঞা জানান, গুলিবিদ্ধ ডাকাত শরীফকে পুলিশ আটক করেছে। গুলিবিদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তা জহিরুল ও ডাকাত শরীফকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাকাতির মালপত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ ওই দলটি ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নানা কৌশলে ডাকাতি করে আসছে। পুলিশের বিশেষ টহল গাড়ির ওপরও একাধিকবার ঢিল ছুড়েছে। গ্রেপ্তার শরীফ ডাকাতের তথ্যের ভিত্তিতে এ দলের সব সদস্যকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।