ময়মনসিংহ বিভাগের যে কারাগারগুলো রয়েছে, সেগুলোর বন্দিরা করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের কিশোরগঞ্জ-২ কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে। এরই মধ্যে এই কারাগারকে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ঠিক করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। কিশোগঞ্জ-১ ও ২—দুটি কারাগারেই বন্দি রাখা হয়েছিল। করোনা সংক্রমণের কথা চিন্তা করে ২ নম্বর কারাগারের বন্দিদের ১ নম্বর কারাগারে সরিয়ে নিয়ে সেটিকে এক ধরনের হাসপাতাল বানানো হচ্ছে। ঢাকা বিভাগের বন্দিরা করোনায় আক্রান্ত হলেও আনা হবে কিশোরগঞ্জ কারাগারে।
কারা সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়, দেশের কারাগারে সংক্রমণ দেখা দিলে বন্দিদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার দিকটি ঠিক করা হচ্ছে। কিশোরগঞ্জের একটি কারাগারকে ‘আইসোলেশন সেন্টার’ হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক ও কর্মীদের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে ৫০টি পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই)।
অন্য বিভাগগুলোর প্রতিটিতেই একটি কারাগারকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য। প্রতিটি বিভাগের কোনো না কোনো জেলায় পুরনো ও নতুন কারাগার রয়েছে। সেখানে একটি কারাগারের বন্দিদের আরেকটি কারাগারে নিয়ে এ ধরনের আইসোলেশন সেন্টার বানানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে দুর্যোগ মুহূর্তে দ্রুত চিকিৎসার আয়োজন করা যায়।
কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত আইজি প্রিজনস কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, ‘করোনাভাইরাস রোধে যা যা করা দরকার আমরা তা করছি। যদি সংক্রমণ দেখা দেয় সে ক্ষেত্রেও আমরা ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছি।’ তিনি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-২ কারাগারে ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে কারা চিকিৎসকদের জন্য ৫০টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে।’ প্রশ্নের জবাবে এই কারা কর্মকর্তা বলেন, ‘ রোববার পর্যন্ত দেশের কোনো কারাগারেই কোনো বন্দির মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।’
কারা সূত্র জানায়, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এ নিয়ে যাতে কোনো অসন্তোষ দেখা না দেয় সে কারণে বন্দিরাই স্বজনদের জানিয়ে দিচ্ছে, তারা যেন করোনার সময় দেখা করতে না আসে। এ ছাড়া প্রতিটি কারাগারেই কোনো বন্দির জ্বর, সর্দি, কাশি দেখা গেলেই তাকে অন্য বন্দিদের কাছ থেকে সরিয়ে আলাদা রাখা হচ্ছে।