করোনার টিকা বিক্রির নামে প্রতারণা, ২ প্রতারকের গলায় জুতোর মালা

করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি রুখতে কার্যকর চিকিৎসা খোঁজার কাজ চলছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে। প্রতিদিনই নতুন ওষুধ কোম্পানি, সরকারি বা আধা সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর দাতব্য সংস্থাগুলো তাদের একক বা যৌথ উদ্যোগের কথা ঘোষণা করছে।

ভাইরাসজনিত মহামারি রুখতে দরকার দুই ধরনের ওষুধ। প্রথমটা ভ্যাকসিন। এর কাজ হচ্ছে সুস্থ মানুষের শরীরে ওই বিশেষ ভাইরাসপ্রতিরোধী সক্ষমতা গড়ে তোলা, যাতে তারা সংক্রমণ এড়াতে পারে। দ্বিতীয়টা হলো ট্রিটমেন্ট বা চিকিৎসা। যাদের শরীরে সংক্রমণ ঘটেছে, তাদের দ্রুত সুস্থ করে তোলা। তবে এই কাজ এখনো গবেষণার পর্যায়ে। বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়া করোনা রুখতে অবশ্য এখনো কোনোটাই আবিষ্কৃত হয়নি। তা না হলে আর কি! প্রতারণা তো আর থেমে নেই

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে প্রতারণা করে করোনা ভাইরাসের টিকা বিক্রির অভিযোগে দুই প্রতারককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। রোববার সকালে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের কোবাগা এলাকায় দুই প্রতারককে আটক করে গণধোলাই দিয়ে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের কোবাগা হরি মন্দিরে করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়া হবে বলে মাইকিং করা হয়। রোববার সকালে প্রতারকরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গ্রামের সহজ সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে ভিটামিন ইনজেকশন দিয়ে প্রতি মানুষের কাছ থেকে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নিতে শুরু করে।

বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মীর হাজারিবাগের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবজাল হোসেন ও পটুয়াখালীর গোমরাবাড়ির মৃত আব্দুল লতিফ খানের ছেলে বাবুল ইসলামকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে জুতার মালা পরিয়ে তাদের তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ মো: আহসানউল্লাহ বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু ভিটামিন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে।

Share this post

scroll to top