গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ বন্দী যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামি মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৭) মারা গেছেন। তিনি ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার আরকে মিশন রোড এলাকার ডা. লুৎফর রহমানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছিল।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতলে আনা হয়। “ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।” আগের রাতেও আরেক বন্দিক বুকে ব্যথা ওঠার পর মারা যান। যাকে এই হাসপালে মৃত অবস্থায় নেওয়া হয়েছিল বলে চিকিৎসক জানিয়েছিলেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার বাহারুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে কারাগারের ভেতর বুকে ব্যথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়ে মিজানুর রহমান মিন্টু।
“এ সময় তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে তাকে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়। “পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সোয়া ৭টার দিকে মিজানুর রহমান মিন্টুকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেলার আরও জানান, মিন্টু ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন। ওই বছরের ২৪ অক্টোবর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে আনা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে ভুগছিলেন বলে জানান জেলার।
উল্লেখ্য, তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর গ্রেফতারের পর ওই বছরের ২৪ অক্টোবর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয় মিন্টুকে। তার হাজতি নম্বর ছিল ৩৫৫৫/২০১৫।