বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চলছে ভ্রমণ নিষিদ্ধ, লকডাউন ও আইসোলেশন। নানা পদক্ষেপের কারণে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিছুটা হলেও দেখা দিয়েছে আশার আলো।
লন্ডনের নর্থ মিডলসেক্স হাসপাতালের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক নবজাতক শিশু এখন বিপদ থেকে মুক্ত। অপরদিকে এই সপ্তাহে চীনে ১০৩ বছর বয়সী বৃদ্ধা জাং গুয়াংফেন কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম মিরর এর তথ্য মতে, ভারতের নয়াদিল্লীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী সাফদারজং হাসপাতাল সফলভাবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
চীনের উহানে এই ভাইরাস সক্রমণের সংখ্যা কমে এসেছে। এ আনন্দে চীনা চিকিৎসকদের গায়ের প্রতিরক্ষা স্যুট ছুড়ে ফেলে আনন্দ উদযাপন করতে দেখা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর প্রতিষেধক ও ওষুধ আবিষ্কারের জন্য গবেষণা চলছে।
নেদাল্যান্ডের রোটারড্যাম এবং ইউট্রেচ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেছেন, তারা একটি অ্যান্টিবডি পেয়েছেন যা সফলভাবে কোভিড-১৯ রোগীকে নিরাময় করতে পারবে। তবে এটি এখনো পরীক্ষাধীন রয়েছে। বিট্রেনের সংবাদ মাধ্যম দ্য সান এক রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, সারাবিশ্বে এই অ্যান্টিবডিটি কোভিড-১৯’র প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও জাপানি কিছু ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ও ওষুধ নিয়ে কাজ করছে। ওষুধ তৈরির জন্য তারা রোগীদের রক্তের প্লাজমা ব্যবহার করছে। কানাডার অন্টারিও গবেষকরা এই ভাইরাসের প্রতিরূপ তৈরি নিয়ে কাজ করছেন যা মাইলফলক সৃষ্টি করতে পারে।