সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান আঞ্চলিক সফরের শুরুতে বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছেন। সৌদি আরবের কট্টর সমালোচক জামাল খাসোগির হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটি সংকটে পড়ার পর এটি তার প্রথম আনুষ্ঠানিক বিদেশ সফর। খবর এএফপি’র।
সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, রয়্যাল কোর্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রিন্স মোহাম্মদ তার বাবা বাদশাহ সালমানের অনুরোধে ভ্রাতৃপ্রতিম কয়েকটি আরব দেশ সফর করবেন। তবে বিবৃতিতে দেশগুলোর নাম বলা হয়নি।
আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম জানায়, আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন জায়েদ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) সালমানকে স্বাগত জানান। আঞ্চলিক সফরের ক্ষেত্রে এটি ছিল তার প্রথম যাত্রা বিরতি।
উল্লেখ্য, ইউএই হচ্ছে ইয়েমেনে ইরান সমর্থনপুষ্ট হাউছি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের একটি ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ।
বিস্তারিত উল্লেখ না করে ডব্লিউএএম জানায়, এ দুই নেতা ‘আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক’ উন্নয়ন এবং ‘মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের চ্যালেঞ্জ ও হুমকি’ নিয়ে আলোচনা করেন।
তিউনিস প্রেসিডেন্টের এক সূত্র এএফপি’কে বলেন, সৌদি প্রিন্স সালমানের মঙ্গলবার তিউনিসিয়ার রাজধানী সফর করার কথা রয়েছে।
গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্টের লেখক খাসোগিকে নির্মমভাবে করা প্রশ্নে রিয়াদের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এ আঞ্চলিক সফর করছেন। এদিকে আগামী সপ্তাহে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিতব্য জি২০ সম্মেলনে ক্রাউন্স প্রিন্স যোগ দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে খাসোগিকে হত্যায় সৌদি যুবরাজের হাত রয়েছে সিআইএ’র তদন্ত প্রতিবেদনে এমন ইঙ্গিত দেয়ার পরও মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন শিথিল করবে না।
জি২০ সম্মেলনে সাক্ষাৎ হতে পারে প্রিন্স ও এরদোগানের।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে প্রিন্স মোহাম্মাদের সাথে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগানের সাক্ষাৎ হতে পারে।
খাসোগি হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রাউন প্রিন্স ও সৌদি আরবের ভাবমূর্তি চরম সংকটের মুখে পড়ার পর এ দু’জনের মধ্যে তা হবে প্রথম সরাসরি বৈঠক।