বেশি দামে পণ্য বিক্রি করায় ১০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড

পিরোজপুরের কাউখালীতে করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে গত দু’দিন ধরে উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে বেশি দামে নিত্য পণ্য বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরতে শুক্রবার সকালে দক্ষিন বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালত নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: খালেদা খাতুন রেখা।

এ সময় ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ বাজারে পেঁয়াজের মূল্য খুচরা বাজারে ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, যা দাম বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। রসূনের মূল্য ছিল ৬০ টাকা, দাম বেড়ে গিয়ে হয় ৯০ টাকা। চালের বাজার মূল্য বস্তা ছিল ১৩শ’ থেকে ১৭শ’ টাকা, যা বর্তমান মূল্য দাঁড়ায় ২ হাজার থেকে ২১ ’শ টাকায়।

আর এতে অতি উৎসাহী হয়ে লোকজন বাজার থেকে চাল ও পেঁয়াজসহ সকল নিত্য পণ্য আগাম ক্রয় করে মজুত করে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ সুযোগকে পুঁজি করে কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে অসাধু ব্যবসায়ীরা চাল-পেঁয়াজসহ নানারকম নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি শুরু করেন।

এ বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: খালেদা খাতুন রেখার নেতৃত্বে কাউখালী থানা পুলিশের সহযোগিতায় দক্ষিণ বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত চাল ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বাদশাকে ৫হাজার টাকা, সাইদুর রহমানকে ৫ নহাজার টাকা, সুখরঞ্জন দেউড়িকে ৫ হাজার টাকা,বশির উদ্দিনকে ২ হাজার টাকা, পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জসিমকে ৫ হাজার টাকা, মজিবুর হাওলাদারকে ১ হাজার টাকা, বিষ্ণুকে ৩ হাজার টাকা, সাহেব আলীকে ৫শ’ টাকা, শংকর কুণ্ডুকে ৫ হাজার টাকা ও আলতাফকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: খালেদা খাতুন রেখা বলেন, কোনো ব্যবসায়ী করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে যদি নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধি করেন, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযানকালে কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  আবু সাঈদ মিঞা মনু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন উপস্থিত ছিলেন।

Share this post

scroll to top