প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার। এ উপলক্ষে ঢাকায় বঙ্গভবনসহ আওয়ামী লীগ, জিল্লুর রহমানের গুলশানে আইভি কনকর্ড বাসায় ও ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং তার পৈত্রিক ভিটায় দোয়া, মিলাদ, কোরান খতমের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও ঢাকার বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও তার পরিবারের সদস্যরা কবর জিয়ারত করবেন বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
২০১৩ সালের এই দিনে তিনি রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজেবেথ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। পরে মৃত্যুর তিনদিন আগে তাকে সিঙ্গাপুরে নিলে ২০ মার্চ বিকেলে তিনি মারা যান। পরে তাকে ঢাকাসহ পৈত্রিকভিটা ভৈরবে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে স্ত্রী আইভি রহমানের কবরে দাফন করা হয়।
১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের ভৈরবপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মেহের আলী মিয়া ছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী ও তৎকালীন সময়ে ময়মনসিংহের লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জেলা বোর্ডের সদস্য। জিল্লুর রহমান ময়মনসিংহের জেলা শহরে শিক্ষা জীবন শুরু করেন। ১৯৪৫ সালে তিনি ভৈরবের কেবি হাইস্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন। তারপর ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্সসহ এমএ ও এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৫২ সালে তিনি ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৫৬ সালে তিনি কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫২ সাল থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আওয়ামী মুসলিম লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন।