করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের এক দুবাই ফেরত নারীকে ময়মনসিংহের এসকে হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।
বৃহস্পতিবার নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ময়মনসিংহে পাঠানো হয়। ওই নারীর শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ময়মনসিংহে পাঠানো হয়। ওই নারীর শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে বলে স্থানীয় সিভিল সার্জন ডা. তাজুল ইসলাম খান নিশ্চিত করেছেন।
মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুবীর সরকার জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে ওই নারী তার স্বামীকে নিয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। হাসপাতালে এসেই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। চিকিৎসক ও নার্সরা জরুরি সেবা দেওয়ার পর তার জ্ঞান ফেরে। পরে তারা জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হন- গত ১৫ মার্চ দুবাই থেকে এসেছেন তিনি।
ডা. সুবীর বলেন, ‘ওই নারীর দেহে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সব রকমের উপসর্গ রয়েছে। তিনি জ্বর, সর্দি, কাশি ও
শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। দুপুর দুইটার দিকে তাকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহের এসকে হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়।’
করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসার লক্ষ্যে স্থাপন করা ওই আইসোলেশন সেন্টারটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিচালনা করছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বিদেশ ফেরত ওই নারী হোম কোয়ারেন্টিনের শর্ত মানেননি। তিনি বিদেশ থেকে আসার পর তার স্বামীর সঙ্গে এক ঘরে বসবাস করেছেন। তাকে চিকিৎসা দেওয়ার সময় চিকিৎসক এবং নার্সরাও সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত ছিলেন না।
সিভিল সার্জন ডা. তাজুল ইসলাম খান বলেন, আমরা ওই নারীকে সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে চিহ্নিত করেছি। তিনি সত্যি সত্যি করোনায় আক্রান্ত কি না তা আইইডিসিআর নিশ্চিত করবে।