গফরগাঁওয়ে গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত বিদেশ থেকে চার শতাধিক ব্যক্তি এলাকায় ফিরেছেন। তাদের নাম-ঠিকানা স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হাতে না থাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। অনেকেই অবাদে চলাফেরা করছেন। তবে মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা বিদেশফেরত ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে জানানো হয় যে সাম্প্রতিক সময়ে গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত ৪০৮ জন প্রবাসী বিদেশ থেকে নিজ এলাকা গফরগাঁওয়ে ফিরেছেন। সংখ্যা জানানো হলেও তাদের সুনির্দিষ্ট নাম-ঠিকানা জানানো হয়নি। ফলে বিদেশফেরত ব্যক্তিরা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন কিনা জানার কোনো উপায় নাই। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে দেশে ফেরা ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। তবে তাদের( দেশে ফেরা ব্যক্তি) নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে গিয়ে বিদেশফেরত ব্যক্তির স্বজনদের বাধার মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগ ছাড়া বিদেশফেরত ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা সম্ভব নাও হতে পারে। এ অবস্থায় মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন খান বলেন, বিদেশফেরত ৪০৮ জনের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার জন্য মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুব উর রহমান বলেন, বিদেশ থেকে কোনো প্রবাসী এলাকায় ফিরে এলেই প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম পুলিশদের নির্দেশনা দেওয়া আছে।