বিশ্বজুড়ে করোনার থাবায় মৃত্যুর পথযাত্রী হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। এ ভাইরাসে আক্রন্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে প্রবীণদের। যাদের বয়স একটু বেশি, তাদের পাশে কিভাবে থাকবেন? পাশে থেকে কিভাবে নিজেকেও বাঁচাবেন?
আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যাদের বেশি
বয়স যাদের ৬৫ বছরের বেশি, করোনায় সংক্রমিত হলে তাদের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা অন্য কোন জটিল রোগ থাকলে এর চেয়ে কম বয়সিদেরও করোনাভাইরাসে মৃত্যু হতে পারে।
বয়স্কদের পাশে সর্তকতা অবলম্বন জরুরি
অনেক দেশে প্রবীণদের অন্তত ১২ সপ্তাহ ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই সময় প্রবীণদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে অন্তত এক মিটার, অর্থাৎ তিন ফুট দূরে থেকে কথা বলতে হবে। চুমু খাওয়া বা আলিঙ্গন করা যাবে না।
হাত ধুয়ে নিতে ভুলবেন না
ঘরের বাইরে গেলে এখন এমনিতেই সবার স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নেয়া উচিত। প্রবীণদের কাছাকাছি গেলেও এই নিয়ম মানতে হবে।
দেখা কম করা ভালো
এমনিতে দেখা কম করা ভালো। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেখা না করে ফোন করে, চিঠি লিখে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় প্রবীণদের খোঁজখবর নেয়া যেতে পারে।
প্রবীণদের যা যা করতে হবে
করোনার আতঙ্ক নিয়ে প্রবীণদের পক্ষে একা থাকা খুব কঠিন। সময় কাটাতে তাদের ঘর পরিষ্কার করা নাচা বা বসে বসে করা যায় এমন ব্যায়ামে মন দিতে হবে। এছাড়া সূর্যের আলো আর মুক্ত বাতাস যতটা সম্ভব গায়ে লাগাতে হবে।
এদিকে বুধবার বাংলাদেশে কারোনায় আক্রন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা: মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি আরো জানান, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪ জনে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে