‘থানকুনি খেয়ে’ রাত পার করলেন ১০ লাখ মানুষ

‘থানকুনি পাতা খেলে রক্ষা পাওয়া যাবে করোনাভাইরাস থেকে’ এমন গুজবে বরগুনার ছয় উপজেলার দশ লাখের বেশি মানুষ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত ২টা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এ গুজব ছড়ায়। গুজবের কারণে রাত জেগে মানুষ থানকুনি পাতা সংগ্রহ করে খেয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, একটি কুচক্রি মহল মঙ্গলবার মধ্যরাতে মোবাইল ফোনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবটি ছড়িয়ে দেয়।

গুজব ছিল, থানকুনী পাতা খাওয়ার বিষয়টি স্বপ্নে দেখেছেন একজন প্রসিদ্ধ পীর। স্বপ্নে তিনি দেখেছেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের মধ্যে যারা তিনটি বা পাঁচটি থানকুনি পাতা খেয়ে এক গ্লাস পানি পান করে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবেন তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে না। তবে এ পাতা বুধবারের সূর ওঠার আগ মুহূর্তে খেতে হবে।

এ গুজব বরগুনা সদর, পাথরঘাটা, আমতলী, তালতলী, বামনা ও বেতাগীসহ ছয় উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। গুজব রটানোর সাথে সাথে মানুষ হুমড়ি খেয়ে থানকুনি পাতা সংগ্রহ করে খেতে শুরু করে। সারারাত ছয় উপজেলার প্রায় দশ লাখের বেশি মানুষ রাত জেগে থানকুনি পাতা সংগ্রহ করে খেয়েছেন। বুধবার সকালে নিছক গুজবের খবরটি সাধারণ মানুষের মাঝে পৌঁছালে তারা আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মানুষকে সচেতন করার জন্য উপজেলার সর্বত্র মাইকিং করেছেন ও গুজবে প্রতারিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে এই গুজব যে পীরের নামে ছড়ানো হয়েছে, তিনি তা অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, এটা মিথ্যা কথা। এর সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। কুচক্রি মহল আমার নাম ব্যবহার করে মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

Share this post

scroll to top