বরগুনার পাথরঘাটায় চলমান প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের হয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। রোববার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার একটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।
একই কেন্দ্রের ৯ জন শিক্ষার্থী স্থানীয় কেকে আজিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। শিক্ষাথীরা হলেন, রাকিব, আরিফুল ইসলাম, জাকারিয়া, সাজিনা, হাওয়া, রুমানা, সুমাইয়া, শাকিব, আরেকজনের নাম জানা যায়নি।
সরেজমিন উপজেলার বুজরুগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, আজিজাবাদ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। তারা সকলেই ওই মাদ্রাসা থেকে ২০১৮ সালে ইবতেদায়ী ও সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করেছেন। যারা উপজেলার কেকে আজিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থী সাজিনা, রুমানা, জাকারিয়া ও রাকিব বলেন, কেকে আজিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হায়দার সবুর, রাসেল ও হাজিফুর স্যারেরা বলছেন আমাদের এক কপি করে ছবি দিতে পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষা দিলে দৈনিক ১০০ টাকার নাস্তা করাবে। আমাদের যে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাবে তা আমরা জানিনা।
এদিকে বুজরুগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব অঞ্জু রাণী বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, টিও স্যার, পরীক্ষা চলাকালীন আমাকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। তাই আমি এ বিষয় কিছুই জানিনা।
পরীক্ষার্থী মো. জাকারিয়ার পিতা মো. রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, এটি দুঃখজনক। আমরা সন্তানদের পাঠাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখার জন্য। কিন্তু এই শিশুদেরকেই প্রথমে অনিয়ম দুর্নীতি শেখানো হচ্ছে।
বিষয়টি স্বীকার করে কেকে আজিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হায়দার সবুর এড়িয়ে যান।
এ ব্যপারে পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা অফিসার নগন্দ্রে নাথ সরকার বলেন, এ রকমের ঘটনা আপনাদের কাছেই শুনিছি। এখন পর্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে জানায়নি।
এবিষয় পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ডেকেছি। যাচাই বাছাই চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।