ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাবেক গণপরিষদ সদস্য, ভাষা সৈনিক খোন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লাহ’র (৮৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকার অনুদান দিয়েছে সরকার।
সোমবার (১৬ মার্চ) খন্দকার আব্দুল মালকের ছোট ছেলে খন্দকার মঞ্জুর মালেক সুদিপ্ত নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ মোঃ আবু জাফর রাজু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে ২ লাখ টাকার চেক ও ১০ লাখ টাকার এফডিআর সুরাইয়া মালেকের হাতে তুলে দেন।
তিনি আরো বলেন, ২ লাখ টাকার চেক ও ১০ লাখ টাকা সুরাইয়া মালেকের নামে ইস্যু হয়েছে। খন্দকার আব্দুল মালেক গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারী থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বর্তমানে খন্দকার আব্দুল মালেকের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলেও জানান তিনি
এর আগে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক গত বছরের ১৩ অক্টোবর স্ট্রোক করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এ সময় তার ডান হাত ও ডান পা অচল হয়ে পড়ে। ৩ ডিসেম্বর আবারও স্ট্রোক করেন।
এই অসুস্থতার সংবাদ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে সাবেক আইন মন্ত্রী আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল মতিন খসরু গত ২৫ ফেব্রুয়ারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
উল্লেখ্য, খন্দকার আবদুল মালেক শহীদুল্লাহ ১৯৩৬ সালে মুক্তাগাছা শহরের খন্দকারবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা খন্দকার আবদুল মান্নান ছিলেন চিকিৎসক। ৫২’র ভাষা আন্দোলনের সময় নবম শ্রেণিতে পড়তেন আবদুল মালেক। সেই সময় তিনি আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় স্কুল থেকে হয়েছিলেন বরখাস্ত। ১৯৫৩ সালে তিনি মুক্তাগাছায় শাসনতন্ত্র প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। ১৯৫৬ সালে মুক্তাগাছা থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এর পর তিনি দৈনিক ইত্তেফাক, সংবাদসহ একাধিক পত্রিকায় সাংবাদিকতাও করেন। ১৯৬৪ সালে পৌরসভার কমিশনার (কাউন্সিলর) নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি মুক্তাগাছা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের আগে একাধিকবার মুক্তাগাছায় এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিটি অনুষ্ঠান ছিল আবদুল মালেকের আহ্বানে।