করোনাভাইরাস নিয়ে সরকারকে রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। সরকারের উদ্দেশে মওদুদ বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আপনারা রাজনীতি করবেন না। আপনারা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, আপনাদের কাছ থেকে আমরা এতটুকু আশা করব।
তিনি বলেন, আজকে যদি এটা ব্যাপক আকার ধারণ করে তাহলে সরকার সম্পূর্ণভাবে এটা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হবে। এটা দেশের মানুষ বিশ্বাস করে। কারণ সরকারের করোনাভাইরাসের ব্যাপারে প্রথমে উদাসীন ছিলেন। এখন তারা যেটা করছে তা পত্রিকার কাগজ বিজ্ঞাপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কতটুকু প্রস্তুতি তাদের আছে তা কেউ বলতে পারবে না।
শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে ‘করোনাভাইরাস: বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মওদুদ বলেন, করোনাভাইরাস একটি ভয়ঙ্কর এক সংক্রমক। কোথায় থেকে এসেছে? কিভাবে এসেছে? কি কারণে এসেছে? সেটা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করে কেউ আবিস্কার করতে পারেনি। তবে এতটুকু আমরা জানি যে এই রোগ প্রথম ধরা পরে চীন দেশে। তার পরেই এটি বিশ্বের প্রায় ১২৫টি দেশে ছড়িয়ে পরে।
তিনি বলেন, বিশ্বের উচ্চ পর্যায়ের বক্তিরা এই রোগে আক্রন্ত হয়েছে। কেউ বলতে পারবে না যে আমি আক্রান্ত হব না। এটি এমন একটি ভয়াবহ রোগ যেটি যে কোনো সময়, যে কোনো দেশে ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে। আমাদের মত দেশে যেখানে ঘনবসতি খুব বেশি এবং পরিবেশগত কারণে ছাড়ানো সম্ভবনা। আমরা চাই না, আল্লহ না করুক, করোনার ব্যাপক আকার যদি ধারণ করে তাহলে আমি মনে করি না যে সরকার এর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এই সরকার জবাবদিহিহীন সরকার, একটি অনির্বাচিত সরকার। সেটা আমাদের মনে রাখতে হবে। সেজন্য তারা যখন কিছু বলেন বা তারা যখন কিছু করেন সেখানে সবসময় আমাদের সন্দেহ থাকে। সন্দেহ থাকে এই কারণে যে প্রত্যেকটি রাষ্ট্রীয় বিষয়ে তারা দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করেন। এয়ারপোর্টে যে ব্যবস্থা নিয়েছেন তাই একেবারে অপ্রতুল। সেখানে দায়সারা একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমার মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা উচিত। কারণ কেউ বলতে পারে না কেউ এই ঝুঁকি নিতে পারে না। সরকারের উচিত হবে না এই ঝুঁকি নেওয়ার। যত রকম সর্তকতা অবলম্বন করা যায় তত রকমের সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।
এ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেস, নাগরিক ঐক্যে আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ।