মিরসরাইয়ে কুড়িয়ে আনা পটকা মাছ খেয়ে অসুস্থ হয়ে দাদী ও নাতনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরো সাতজন অসুস্থ হয়েছে। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
নিহত দাদীর নাম ফজিলা খাতুন (৬০) ও তার নাতনি মরিয়ম (৩)। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভার চিনকি আস্তানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হতাহতদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে।
এদিকে, রাত ৯টার দিকে ৭ জনকে এনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন মরিয়মের বাবা শফিকুল ইসলাম (৩৫), মা বিলকিস (৩০), ভাই রাব্বি (১০) ও সাব্বির (৭) এবং বোন ঝর্ণা (৮) ও আতিয়া (২) এবং মরিয়মের মামা আমজাদ হোসেন (২৬)।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বারইয়াহাট বাজার থেকে পটকা মাছ (যার বৈজ্ঞানিক নাম ট্রেট্রোডন প্যাটোকা) কিনে বাড়িতে নিয়ে যান শফিকুল ইসলাম। রান্নার পর দুপুরের খাবারের সাথে পরিবারের সবাই মিলে বেলুন আকৃতির ওই মাছ খান। খাওয়ার কিছুক্ষণ পর পরিবারের দুই শিশুসহ চারজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (মাস্তান নগর হাসপাতাল) নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু মরিয়মের নেছাকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং অন্যদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ পাসপাতালে (চমেক) স্থানান্তর করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শহীদুল ইসলাম জানান, পটকা সামুদ্রিক জাতের মাছ। এ মাছ খাওয়ার কারণে বিষক্রিয়ায় শফিকুলের পরিবারের ৯ সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার মধ্যে একটি শিশু মারা যায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, সাতজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।