রংপুরে জিন হুজুরের দীন প্রচারে মাদ্রাসামুখী হচ্ছে এলাকার মানুষ

Mozaddedi-Huzurদীন প্রতিষ্ঠায় নিজে আপ্রাণ চেষ্টা করে সাথীদের নিয়ে ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় “মোজাদ্দিদিয়া মদিনাতুল উলুম” মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুফতি মোজাদ্দেদ আলী (জিন হুজুর)। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের ঝাড়ুয়ার হাট গ্রামে জিন হুজুরের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় এলাকায় সাধারণ মানুষ তাদের সন্তানদের মাদরাসামুখী করতে উৎসাহ পাচ্ছে। প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীদের খরচ নিজেই বহন করছেন। প্রতিবছর নিজেই শতাধিক শিক্ষার্থীকে জামা-কাপড় ও বই কিনে দিচ্ছেন। সেজন্য কেউই তাকে আর্থিকভাবে সহযোগীতা করছেন না। এলাকায় শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌছে দিতেই তিনি নিজের কর্মের পাশাপাশি মানবিক সেবায় এগিয়ে যাচ্ছেন। এমন নজীর বাংলাদেশে বিরল। এতে করে এলাকার মানুষ তাদের ছেলে মেয়েদের মাদরাসামুখী করছে। পাশাপাশি জিনের আচর যেসব রোগীদের রয়েছে তাদের সুস্থ করে পরিবারে সুখ শান্তি ফিরাতেও তিনি সর্বমহলে প্রশংসিত।

সরেজমিনে দেখাযায়, প্রতিদিন ভোর থেকেই এই মাদরাসা প্রাঙ্গনে দেশ বিদেশ থেকে জিনের চিকিৎসার জন্য রোগীও তাদের লোকজন ভীড় জমান। কোরআন হাদিসের আলোকে তারা চিকিৎসা নিয়ে পারিবারিকভাবে উপকৃতও হচ্ছেন। নিজের এলাকার রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট দিনে চিকিৎসা দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। তার মানবিক সহযোগীতায় এলাকাবাসী জিনহুজুরের অতি আপনজন হয়ে যাচ্ছেন। বদরগঞ্জের মানুষের সুখে দু;খে আরেক নাম এখন জিন হুজুর।

মোজােদ্দিদিয়া মদিনাতুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক এম এ আশিক জানান, হুজুর নিজের খরচে এলাকার মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। হুজুরের কাছ থেকে দেশ বিদেশ থেকে যেসব জিনের রোগী আসে তাদের আর্থিক সহযোগীতায় এ প্রতিষ্ঠানটি মূলত চলছে। এই প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোনো ধরণের টাকা পয়সা নেয়া হয়না। বরংচ আরো শিক্ষার্থীদের থাকা খাওয়া ও চিকিৎসায় সমস্ত খরচ এই মাদরাসা থেকেই দেয়া হয়।

হাফেজ মাওলানা মুফতি মোজাদ্দেদ আলী (জিন হুজুর) বলেন, ইসলামী শিক্ষার একটি গৌরবময় ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। প্রায় ১৩০০ বছরের এই সময়ে ইসলামী শিক্ষাবীদরা জ্ঞানের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছিলেন তৎপর, সরব এবং অগ্রসর। বিস্তৃত এবং সুবিশাল ইসলামী সাম্রাজ্য জুড়ে ইতিহাসখ্যাত শিক্ষাকেন্দ্রগুলির প্রতিষ্ঠা ঘটে। গ্রামাঞ্চলের মানুষকে শহরের পরিবেশে আধুনিক মাদরাসা শিক্ষা নিতে খুব বেগ পোহাতে হয়। তাই নিজ উদ্যোগে বিনা স্বার্থেই দীন প্রতিষ্ঠায় মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর সম্পূর্ণ কোরআন, হাদিস ভিত্তিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে মানুষকে আল্লাহর সাহয্যে সুস্থ করার ক্ষেত্রে সময় ব্যয় করে যা উপার্জন হয় তা দিয়েই মাদরাসার উন্নয়ন কাজ চলে।

Share this post

scroll to top