দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কর্মচারি পদে চাকরির মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল একটি প্রতারকচক্র। বুধবার দুপুরে সেই চক্রের এক নারী সদস্যকে হাতেনাতে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা। আটককৃত সদস্য ময়মনসিংহের সুতিয়াখালীর বয়রা গ্রামের মো. সিদ্দিকের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সুমা (২৪) । সুমাইয়া এক লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা যায়।
বিশ^বিদ্যালয়টির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দীন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ^বিদ্যায়ের নিরাপত্তা শাখা থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তানভীর ইসলাম নামের এক চাকরি প্রার্থীর সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন প্রতারকচক্রের ওই সদস্য। এসময় প্রতারণার বিষয়ে নিরাপত্তা কর্মীরা অবগত হলে তাকে আটক করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা শাখায় ওই সসদ্যকে নেওয়া হয়।
প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দীন হাওলাদার বলেন, তানভীর ইসলাম বাবুল, আনন্দ বণিক, হাসান মির্জা তানভির, পূর্নিমা, রিপা আক্তার এবং তানজিলা আক্তার নামের ছয় জনকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে সর্বমোট এক লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা আটককৃত সুমাইয়া স্বীকার করেছেন। এবিষয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করে তাকে পুলিশে দেওয়া করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আটককৃত সুমাইয়া বলেন, বেগম রোকেয়া হলের কর্মচারি মো. হেলালের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারি পদে চাকরি দেওয়ার নামে ওই টাকা নিয়েছি । এর মধ্যে এক লক্ষ টাকা কর্মচারি হেলালকে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কর্মচারি হেলাল বলেন, হলে কর্মচারি পদে কোনো চাকরি আছে কিনা জানতে সুমাইয়া কিছুদিন আগে আমার সাথে যোগাযোগ করে। কিন্তু নিয়োগের বিষয়ে তার সাথে কোনো কথা হয়নি। চাকরি দেওয়ার নামে আমি তার কাছে কোনো টাকা নেয়নি। সে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক বলেন, প্রতারণাচক্রের সাথে কর্মচারি হেলালের সম্পৃক্ততা আছে কিনা সেটি তদন্ত করা হবে। প্রতারণাচক্রের সাথে জড়িত সেটি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।