করোনাভাইরাসে বাংলাদেশির মৃত্যু

BRITAINবিশ্বব্যাপী দ্রুত প্রভাব বিস্তারকারী করোনাভাইরাসে নিহতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। বিশ্বের প্রায় শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি এরই মধ্যে কেড়ে নিয়েছে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ। ঘাতক ভাইরাসটিতে দেশের তিনজন এবং বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এই প্রথম কোন বাংলাদেশি মারা গেলেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে।

রোববার ব্রিটেনে যে তৃতীয় ব্যক্তি করোনাভাইরাসে মারা গেছেন, তিনি একজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি। সংক্রমণ ধরা পড়ার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ম্যানচেস্টারের এক হাসপাতালে ৬০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি মারা যান। খবর বিবিসির

জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে ওই ব্যক্তি ১৯৮৯ বাংলাদেশ থেকে ইটালি যান। তখন তিনি বয়সে তরুণ। পাঁচ-ছয় বছর আগে তিনি পরিবারসহ পাকাপাকিভাবে ব্রিটেনে চলে যান। তিনি ব্রিটেনে থাকলেও ইটালিতে বেড়াতে যেতে পছন্দ করতেন। এবারও ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তিনি সেখানে যান। তখনও ইটালিতে করোনাভাইরাস এত ব্যাপকভাবে ছড়ানোর কথা শোনা যায়নি। কিন্তু তিনি যে দুই সপ্তাহ ইটালিতে ছিলেন, তার মধ্যেই পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হয়। ব্যাপকভাবে সেখানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখ তিনি ফিরে আসেন ইটালি থেকে। তখনও তিনি সুস্থ। কিন্তু তিন দিন পর সব ওলট-পালট হয়ে যায়। রোববার নর্থ ম্যানচেষ্টার জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের ছেলে বলেন, ‘‘বাবার মৃত্যুর খবর পেলেও আমরা কিছুই করতে পারছি না, কোথাও যেতে পারছি না। কারণ আমাদের সবাইকে ‘আইসোলেশনে’ রাখা হয়েছে। প্রতিদিন পাবলিক হেলথ ইংল্যাণ্ড থেকে আমাদের সবার কাছে টেক্সট আসে। তারা জানতে চায়, আমাদের সব ঠিক আছে কিনা। আমাদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোন লক্ষণ আছে কিনা। প্রতিদিন আমাদের সেই টেক্সটের জবাব দিতে হয়। এখন পর্যন্ত আমরা সবাই ভালো আছি।”

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবারের কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের কোন লক্ষণ নেই। আমরা যেহেতু আইসোলেশনে আছি, তাই আমার বাবার জানাজা বা দাফন কোন কিছুই করতে পারছি না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা লাশ আরও কিছুদিন মর্গে রেখে দেবে। আরও এক সপ্তাহ পর যখন আমাদের মুক্তি মিলবে, তখন আমরা বাবার জানাজা, দাফন এগুলোর আয়োজন করতে পারবো।’

Share this post

scroll to top