কুয়েতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাসের কারণে শনিবার বাংলাদেশসহ সাতটি দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।
বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশগুলোর মধ্যে মিসর, লেবানন, সিরিয়া, ফিলিপিন্স, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় বিমান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কুয়েত। এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা।প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ নিষেধাজ্ঞার কারণে, অনেকেই আকামা বা ভিসার সমস্যায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বাংলাদেশকে কেন রাখা হলো এমন প্রশ্নের উত্তরে কুয়েতে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রধান কাউন্সিলর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, এই সাতটি দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় মানুষ কুয়েতে যায়।
আর দেশটির বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার মতো পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকার কারণে সতর্কতার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে কুয়েত। তিনি আরও বলেন, বিষয়টা করোনাভাইরাস আছে কি নাই সেটা না, বিষয়টা হলো করোনাভাইরাস বিমানবন্দরে পরীক্ষা করার মতো পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি নাই কুয়েতের।
বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রধান কাউন্সিলর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও যাতে ছুটিতে থাকা প্রবাসীরা ফিরতে পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা। অন্য দেশের নাগরিকদেরও করোনা পরীক্ষা করা হবে।
এমনকি অন্য দেশে থাকা কুয়েতের নাগরিকরা দেশে ফিরতে চাইলে তাদেরকেও কোয়ারেন্টিনে রাখার কথা জানিয়েছে দেশটি। নিষেধাজ্ঞার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কুয়েতে দুটি ফ্লাইট বাতিল করার কথা জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোকাব্বির হোসাইন জানান, পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ‘যেহেতু কুয়েত নাগরিকদের ঢুকতে দিচ্ছে না, তাই আপাতত ৭ তারিখ এবং ১০ তারিখে দুটি ফ্লাইট বাতিল করেছি আমরা’। এ দু দিনের মাঝখানে অর্থাৎ ৮ ও ৯ মার্চ আর কোন ফ্লাইট নেই বলেও জানান হোসাইন।