ভাঙ্গায় একটি মাদ্রাসার পাঁচ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিয়েছেন শিক্ষক। এ নিয়ে এলাকাবাসী সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশ ডাকা হয়েছে। আগামী শুক্রবার এ সালিশ হওয়ার কথা। এ ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের ‘মকরমপট্টি ইকরা ক্যাডেট মাদ্রাসা ও এতিমখানা’য়। ২০১০ সালে ওই মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয়। ওই মাদ্রাসায় বর্তমানে শিক্ষার্থী দেড় শতাধিক এবং শিক্ষক আছেন চারজন।
অভিভাবকরা জানান, ওই মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির পাঁচ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন শিক্ষক মিজানুর রহমান। গত সোমবার মাদ্রাসায় ক্লাস চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া হলে এবং ওই পাঁচ শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করলে এলাকার মুরব্বিরা এ ব্যাপারে উপযুক্ত সালিশ করে দেবেন বলে ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের নিবৃত্ত করেন। আগামী শুক্রবার ওই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ সালিশ ডাকা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, শিক্ষক মিজানুর রহমান তাদের চুল ছোট করে মাদ্রাসায় আসতে বলেন। পরে তারা চুল ছোট করে আসে। গত সোমবার কয়েক শিক্ষার্থীর চুল কাটা শিক্ষক মিজানুরের পছন্দ না হওয়ায় তিনি শ্রেণিকক্ষে কেঁচি দিয়ে এলোমেলো করে তাদের চুল কেটে দেন।
চুল কেটে নেওয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, রাতে তার স্ত্রী দেখতে পান ছেলের চুল এলোমেলোভাবে কাটা। তিনি বলেন, তার ছেলের চুল খারাপ দেখার মতো বড় ছিল না। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আমরা মাদ্রাসায় গিয়ে এ ব্যাপারে প্রতিবাদ জানাই এবং ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করি। এ বিষয়ে শিক্ষক মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষক মিজানুর নমুনা দেখাতে কয়েক শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন। আগামী শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে সালিশ ডাকা হয়েছে।