বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে এ ধরনের দৃশ্য সচরাচর দেখা যায় না। নির্বাচনের ঘোষণায় পাল্টে গেছে চিত্র। মনোনয়ন কিনতে আসা প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ভিড়ে গতকাল সারা দিন সরগরম ছিল পুরো এলাকা। সৃষ্টি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
সরেজমিন দেখা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে নেতাকর্মীদের উপচেপড়া ভিড়। পাঁচতলা ভবন নেতাকর্মীদের ভিড়ে ঠাসা। ধানের শীষ আর আন্দোলনের নানা স্লোগান। শোডাউন দিয়ে একটু পরপরই মনোনয়নপ্রত্যাশীরা আসছেন। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় ফরম কিনছেন তারা। পুলিশ সদস্যরাও দিনভর ছিলেন সতর্কাবস্থানে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে ভিড় বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ সদস্যরা যান চলাচলে সহায়তা করেন।
নয়াপল্টনে বেলা পৌনে ১১টায় ছয়টি বুথে প্রথম দিনের মতো দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছে ফরম বিক্রি শুরু করে বিএনপি। মনোনয়ন ফরম কিনতে লাগছে পাঁচ হাজার টাকা। আর জমা দেয়ার সময় ২৫ হাজার টাকা জামানত দিতে হবে।
দলীয় মনোনয়ন ফরম ক্রয় ও জমা দেয়ার সময় আরো দুইদিন বাড়িয়েছে বিএনপি। এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। রিজভী জানান, প্রথম দিনে তিনশ আসনের জন্য মোট ১৩‘শ ২৬টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে ১৩শ ২৬টি ফরম বিক্রি হয়েছে। এত নির্যাতন নিপীড়নের মধ্যেও আজকে জাতীয়তাবাদী শক্তির ব্যাপক স্ফুরণ আপনারা লক্ষ্য করেছেন। সকল নির্যাতনের জ্বাল ছিন্ন করে এই জাতীয়তাবাদী শক্তি দলীয় কার্যালয়ে ভিড় করেছে।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত নোনয়ন ফরম বিক্রি হয়।
যেসব নেতা দলের সোমবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- কুমিল্লা-১ আসনে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ছেলে মারুফ হোসেন, মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে দলের স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে দলের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ফেনী-৩ থেকে আবদুল লতিফ জনি, ঢাকা-৪ আসনে আনম সাইফুল, ঢাকা-৫ থেকে নবী উল্লাহ নবী, ঢাকা-৬ থেকে সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন,
ঢাকা-১১ থেকে এম এ কাইয়ুম, ঢাকা-১৬ থেকে আহসান উল্লাহ হাসান, ঢাকা-১৪ থেকে বজলুল বাসিত আঞ্জু, এস এ সিদ্দিক সাজু, ঢাকা-১৭ আসনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামাল জামান মোল্লা, ফরিদপুর-৩ থেকে মাহবুবুল হাসান পিঙ্কু, বাগেরহাট-৩ লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, ব্রাহ্মহ্মণবাড়িয়া-৬ রফিক শিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ থেকে সালাহউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, নওগাঁ-৬ আসনে সাংবাদিক মামুন চৌধুরী স্টালিন, যশোর-১ আসনে মফিকুল হাসান তৃপ্তি, ময়মনসিংহ-৬ থেকে আখতারুল আলম ফারুক, নেত্রকোনা-৪ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল ফারুক, নাটোর-৪ মেহেদী হাসান নোমান, কিশোরগঞ্জ-৫ থেকে অ্যাডভোকেট বদরুল মোমেন মিঠু, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে সাবেক এমপি আবদুল হাই, বরগুনা-১ আসনে মাহবুবুল আলম ও ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা।
এছাড়া মো: সিরাজুল ইসলাম (ভোলা-২), মো: মনিরুজ্জামান মনির (বরগুনা-২), আ: খালেক হাওলাদার (মেহেন্দিগঞ্জ), ব্যারিস্টার এ সারোয়ার হোসেন (পিরোজপুর-১), ওমর আবদুল্লাহ শাহীন (বরগুনা-১), এ কে এম বশির উদ্দিন (মুলাদি-বরিশাল), এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) আলতাফ হোসেন চৌধুরী (পটুয়াখালী-১), মিসেস সুরাইয়া চৌধুরী (পটুয়াখালী-১), মো: শাহজাহান খান (পটুয়াখালী-৩), শিপলু খান (পটুয়াখালী-৩), আলতাফ খান (পটুয়াখালী-৩), ইসমাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো (ঝালকাঠি-২), আকন্দ কুদ্দুসুর রহমান (বরিশাল-১), ওমর চন্দ্র মিস্ত্রী (পিরোজপুর-১), মতিউর রহমান তালুকদার (বরগুনা-১), মেজর (অব:) হাফিজউদ্দিন আহমদ (ভোলা-৩), মো: ফকরুল আলম (পিরোজপুর-১), গোলাম নবি আলমগীর (ভোলা-১), মো: রুহুল আমিন দুলাল (পিরোজপুর-৩),
সাইদুল ইসলাম মিলন (ভোলা-৩), আহসান হাবিব কামাল, এবাদুল হক চাঁন (বরিশাল-৫), সরফুদ্দিন আহাম্মেদ সান্টু (বরিশাল-২), নজরুল ইসলাম খান (পিরোজপুর-১), মো: গোলাম ওয়াহিদ (বরিশাল-৪), শাহ মো: আবুল হোসেন (বরিশাল-৪), কর্নেল (অব:) মো: ইসাহান সিয়ান (পটুয়াখালী-৩), বেল্লাল হোসেন (বরিশাল-৩), মমতাজ বেগম (ঝালকাঠি-১), আবুল কাশেম মো: ফকরুল ইসলাম (ঝালকাঠি-২), রফিকুল ইসলাম মমিন (ভোলা-২), শহিদুল আলম তালুকদার (পটুয়াখালী-২), হাফিজ ইব্রাহীম (ভোলা-২), সেলিমা রহমান (বরিশাল-৩), ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ (বরিশাল-৩), সৈয়দ শহিদুল হক জামাল (বরিশাল-২),
সৈয়দ শহিদুল হক জামাল (পিরোজপুর-১), সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন (ঝালকাঠি-২), মো: আসিফ আলতাফ (ভোলা-১), কে এম কামরুজ্জামান নান্নু (বরিশাল-৬), শহিদুল্লাহ তালুকদার (ভোলা-২), ফয়জুল হক (ঝালকাঠি-১), এমাদুল হক বশির (পিরোজপুর-৩), রঞ্জিত কুমার বাড়ৈ (বরিশাল-২), এ কে এম রুহুল আমিন বাবলু (ভোলা-৩), মাওলানা মো: শামিম (বরগুনা-২), লায়ন এম আর হাওলাদার (ভোলা-৩), নাজিমুদ্দিন আলম (ভোলা-৪), জাহাঙ্গীর মো: আলম (ভোলা-২), সেলাইন সরকার কুট্টি (পটুয়াখালী-১), গাজী কামরুল ইসলাম সজল (বরিশাল-১), গাজী তৌহিদুল ইসলাম (বরগুনা-১), কবিরউদ্দিন আফসারি (বরিশাল-৪), নুরুল ইসলাম খান মাসুদ (বরিশাল-৬), হারুন-অর-রশিদ (ভোলা-১), জি এস আবদুস সবুর কামরুল (ঝালকাঠি-২),
ব্যারিস্টার আশিকুর (পটুয়াখালী-৩), ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আলম (পিরোজপুর-১), এস এম এ বকর (বরিশাল-২), আলহাজ আবদুস ছাত্তার খান (বরিশাল-৩), ভূঁইয়া আলমগীর হোসেন (বরিশাল-১), মো: মাহাবুবুল আলম (বরগুনা-১), মো: নুরুল ইসলাম নয়ন (ভোলা-৪), মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ঠাকুরগাঁও), আবদুল আউয়াল মিন্টু (ফেনী-৩), হেফাজ উদ্দিন চৌধুরী (ফেনী-১), অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন ভিপি (ফেনী-২), লুৎফর রহমান কাজল (কক্সবাজার-৩), এস আবদুল হামিদ (চট্টগ্রাম-৩), মো: আশ্রাফ উদ্দিন (চট্টগ্রাম-৩), মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন (চট্টগ্রাম-৫), মনির আহমেদ লক্ষ্মীপুর-১, শহীদুল ইসলাম চৌধুরী (হিরু চৌ:) (লক্ষ্মীপুর-২), কর্নেল (অব:) ড. আবদুল মজিদ (লক্ষ্মীপুর-২), মো: মাহবুবুল হক রিপন (ফেনী-৩), আবুল হাসেম বুলবুল (ফেনী-১),
আলহাজ মো: নুর নবী ভূঞা (ফেনী-১), আলহাজ মো: নুর নবী ভূঞা (ফেনী-২), এ ওয়াই বি আই সিদ্দিকী (চট্টগ্রাম-৪), খামলাই ম্রো (বান্দরবান-১), বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ (নোয়াখালী-৫), আবু মোহাম্মদ নিপার (চট্টগ্রাম-১৩), ফজলুর রহমান বকুল (ফেনী-২), মেজবাউল মিল্লাত (ফেনী-৩), মোহাম্মদ ফজলুল আজিম (নোয়াখালী-৬), মেজর (অব:) মো: রেজাউল হক (নোয়াখালী-৩), মো: কামাল উদ্দিন (চট্টগ্রাম-৮), ব্যারিস্টার মনির হোসেন কাজল (নোয়াখালী-১), মো: আবুল কাসেম রাজু (ফেনী-৩), নাজিম উদ্দিন আহমেদ (লক্ষ্মীপুর-১), মো: আবদুর রহিম (লক্ষ্মীপুর-১), মো: সাহাব উদ্দিন (লক্ষ্মীপুর-১), মো: মহিন উদ্দিন (নোয়াখালী-৬), মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া (চট্টগ্রাম-১২), সরওয়ার জামাল নিজাম (চট্টগ্রাম-১৩), মিনার চৌধুরী (ফেনী-১), ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা (চট্টগ্রাম-৫), আবুল খায়ের ভূঞা (লক্ষ্মীপুর-২), ফয়সাল মাহমুদ ফয়জী (চট্টগ্রাম-২), জিয়া আহম্মদ মিস্টার (ফেনী-২),
অ্যাডভোকেট আবু তাহের (ফেনী-২), আবদুল মমিন (লক্ষ্মীপুর-৪), গোলতাজ বেগম (চট্টগ্রাম-১১), মওদুদ আহমদ (নোয়াখালী-৫), মো: আকবর হোসেন (ফেনী-৩), মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (চট্টগ্রাম-১), এস এম আতিকুল ইসলাম লতিফি (চট্টগ্রাম-১), মো: মঈন উদ্দিন (চট্টগ্রাম-১), আবদুল্লাহ আল নোমান (চট্টগ্রাম-১০), কাজী মো: মফিজুর রহমান (নোয়াখালী-২), শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি (লক্ষ্মীপুর-৩), দিদারুল ইসলাম মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৪), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাছির উদ্দিন (অব:) (ফেনী-৩), এরশাদ উল্ল্যাহ (চট্টগ্রাম-৮), শামসুল আলম (চট্টগ্রাম-৯), সোয়েব রিয়াদ (চট্টগ্রাম-৯), মো: জাবেদ রেজা (বান্দরবান), মাম্যাচিং (বান্দরবান),
মোহাম্মদ নুরুল মোস্তফা (চট্টগ্রাম-৩), মোস্তফা কামাল পাশা (চট্টগ্রাম-৩), মো: রফিউল ইসলাম (ফেনী-৩), হাবিবুর রহমান নান্টু (ফেনী-১), শাহজাহান চৌধুরী (কক্সবাজার-৪), শাহানারা বেগম (লক্ষ্মীপুর-২), গিয়াস কাদের চৌধুরী (চট্টগ্রাম-২), গিয়াস কাদের চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৬), গিয়াস কাদের চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৭), সারোয়ার আলমগীর (চট্টগ্রাম-২), এ কে এম আবু তাহের (চট্টগ্রাম-৪), মো: কুতুব উদ্দিন বাহার (চট্টগ্রাম-৭), গাজী মো: শাহাজাহান জুয়েল (চট্টগ্রাম-১২) এবং ড. এমরান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১) আসনে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।