সৌদি প্রবাসী স্বামীকে মোবাইল ফোনে লাইনে রেখে স্ত্রী তানজিনা আক্তার রিমি (১৯) ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের ধলিকুঁড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। নিহতের হাত থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মাস পূর্বে পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়িয়া উপজেলার কান্দানিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী কবির হোসেনের সঙ্গে উপজেলার ধলিকুঁড়ি গ্রামের বাসিন্দা ২নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি গোলাপ সরকারের একমাত্র মেয়ে রিমির বিয়ে হয়। বিয়ে পর কবির পুনরায় সৌদি চলে যান।
৬ দিন আগে রিমি তার শ্বশুরকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ঘটনার দিন সকালে মোবাইল ফোনে দীর্ঘক্ষণ রিমির সঙ্গে তার স্বামীর কথা হয়। এ সময় স্বামী রিমিকে গালমন্দ করেন।
স্বামীর গালমন্দ খেয়ে অভিমান করে রশি দিয়ে ঘরের আড়ায় বেঁধে তিনি হাতে মোবাইল ফোন নিয়ে স্বামীকে লাইনে রেখে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার সময় রিমির মা সমিতির কিস্তি দিতে অন্য বাড়িতে ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, রিমি তার স্বামীকে মোবাইল ফোনে লাইনে রেখে আত্মহত্যা করে। মৃত্যুর পর তার হাত থেকেই মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। রিমির গলায় রশি বাঁধা থাকলেও পা খাটের বিছানার সঙ্গে লেগে ছিল।
রিমির বাবা গোলাপ সরকার বলেন, আমার জামাই ফোনে জানান- রিমি ফোন ধরছে না আপনি একটু বাড়ি গিয়ে দেখেন রিমির কি হয়েছে।
এ অপমৃত্যু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মতিউর রহমান জানান, মেয়েটির পা খাটের মাঝে লেগে ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মঙ্গলবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মমেক) মর্গে পাঠানো হবে।