নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনতর শিক্ষার্থীদের উপর বালু ব্যবসায়ী মহলের হামলার অভিযোগ উঠেছে। সড়ক দূর্ঘটনায় চার শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদে সোমবার সকালে টানা দ্বিতীয় দিনে মত শিক্ষার্থীরা পৌর শহরের প্রেসক্লাব মোড়ে জড় হলে বালু ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা লাঠি, বাশ ও রড দিয়ে শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে গুরুত্ব আহত করে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করেও দেয়।
এতে ছাত্র নেতা শাওন, সৈকত, আতিক, অভি, রাতুল সহ ৭ শিক্ষার্থী গুরুত্ব আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নেয়। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলায় শান্তিপুরে বালুবাহী লরি ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ময়মনসিংহের গৌরীপুর থেকে পিকনিকের আসা সদ্য এসএসসি পরীক্ষা সমাপ্তকারীর দলের চার শিক্ষার্থী নিহতের জের ধরেই দুর্গাপুরে সচেতন মহলের পাশাপাশি আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বালু মহালের ইজারাদার আলাল সর্দার নেতৃত্বে সকালে একদল শ্রমিক প্রেসক্লাব মোড়ে এস আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি বন্ধ করতে বলে। এক প্রর্যায়ে বালু ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা বাশঁ ও রড দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষার্থীদের আহত করে। পরে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ করে এমকেসিএস মোড় পর্যন্ত নিয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন বাধাঁ দিয়েই শিক্ষার্থীদের বিরুধে মাঠে বালু ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এই দিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে দুর্গাপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার প্রেসক্লাব মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে।
এদিকে গত দুই দিন ধরে সড়ক এলাকায় দূর্গাপুর শ্যামগঞ্জ মহাসড়কে সকল প্রকার বালু বাহী ট্রাক ও লড়ি গাড়ি বন্ধ হয়ে আসে। রাতে যাত্রীবাহী বাস চলাচল করলেও দিনে বেলা দুরপাল্লার সকল বাস, ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রী সাধারণ পড়েছে চরম বিপাকে।
আন্দোলনকারীরা জানান, তারা বালু উত্তোলন বন্ধ করতে চায় না। তারা চায় নিরাপদ সড়ক। সড়কে বৈধ লাইসেন্সধারী দের মাধ্যমে গাড়ি চলাচল, প্রতিটি বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুইপাশে গতিরোধক স্থাপন, যানবাহনের গতিসীমা ১০ থেকে ১৫ কিলিামিটার গতিতে চালানো সহ মোট ১০ দফা দাবী নিয়ে তারা এই আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে।
অবরোধ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত দুর্গাপুর সার্কেল এর এএসপি মাহমুদা শারমিন নেলী কে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অবরোধ কর্মসুচী পালনে কিছু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার খবর পেয়েছি। এ বিষয় নিয়ে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মহোদয় আজ বিকেলে আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন, আশাকরি শান্তিপুর্ন ভাবে সমাধান হবে।