ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও দলীয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে অনাস্থা দিয়েছে উপজেলা পরিষদের সকল সদস্য।
আজ রবিবার ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে ভাইস চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন শর স্বাক্ষরিত ৬ পাতার রেজুলেশনে কপিসহ লিখিত অনাস্থা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
অনাস্থা অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস কক্ষ ভেঙ্গে প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয় করে তাঁর কার্যালয় নির্মাণ করে, এডিপির ২৫ লাখ টাকার প্রকল্প টেন্ডার বিহীন নামে বেনামে প্রকল্প দিয়ে আত্মসাৎ করে, ইউনিয়ন পরিষদের কাজের বিল আনতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে ঘুষ দাবি, সার্বক্ষণিক আগ্নেয়াস্ত্রবহন ও পেশি শক্তির ভয়ভীতি দেখানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলে ধরেছেন তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে গত দুই মাস আগে উপজেলা প্রকৌশলী এডিপির ১ কোটি ৮ লাখ টাকার কাজের অনুমোদনের জন্য চিঠি দিলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি উপজেলা চেয়ারম্যান।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শরাফ উদ্দিন শর বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারনেই সকল সদস্য তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালেক সরকার বলেন, জীবনে কারও এক টাকা পর্যন্ত খাইনি, উপজেলা পরিষদের কাজের অর্ধেক বন্টন স্থানীয় এমপি সাহেবকে দেইনি বলেই রাজনৈতিক ও জনসাধরনের কাছে ছোট করতে এই অনস্থা দেয়ানো হয়েছে।
এব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, অনাস্থা দিয়েছেন পরিষদের সদস্যরা সেখানেই সব অভিযোগ রয়েছে, আমার বিরুদ্ধে হিংস্বাত্মকমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, যার কোন ভিত্তি নেই।