দেশের অধিকাংশ মাছচাষীরা অধিক ঘনত্বে পুকুরগুলোতে মাছ চাষ করে। এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলে মাছের যে মহামারী হয় তাতে চাষীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হন। পুকুরে মাছের সঠিক মজুদ সংখ্যা, সঠিক জৈব নিরাপত্তা এবং ভালো মানের প্রোবায়োটিক ব্যবহার করে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমানো সম্ভব। এতে পুকুরে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা যেমন কমবে তেমনি উৎপাদনও অধিক হবে। ফলে মাছচাষীরা এর মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।
শনিবার সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশ মৎস্য খামারে সংঘটিত ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার কৌশল উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পে মৎস্য খামারিদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহমদ।
তিনি আরও বলেন, তিন বছর মেয়াদি এ গবেষণায় আমরা পুকুরে অধিক মজুদ করা যায় এ রকম পাঁচটি মাছ থাই পাংগাস, থাই কৈ, শিং, মাগুর ও তেলাপিয়া নিয়ে কাজ করেছি। গবেষণায় দেখা গেছে, সঠিক জৈব নিরাপত্তা ও প্রোবায়োটিক ব্যবহারে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ অনেকটাই কমে গেছে।
গবেষক দলে সহকারী প্রধান গবেষক হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর রহমান, প্রকল্পের পিএইচডি শিক্ষার্থী রাশিদুল হাসান ও মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।
প্রকল্প প্রধান অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আহসান বিন হাবিব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একোয়াকালচার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীলিপ কুমার সাহা। এছাড়াও খুলনা, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের মোট ৩২ জন খামারি এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।