শাহ মোহাম্মদ রনি: নবগঠিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সুষ্ঠুভাবে নগরীর শতাধিক শ্যামা পূজার প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে শনিবার মধ্য রাতে। সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ভক্তরা একেক করে প্রতিমা নিয়ে কাচারীঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদের বিসর্জন স্থলে আসতে থাকেন। ভক্তদের প্রতি শুভেচ্ছা এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সিটি করপোরেশনের নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, মানবতাই ধর্মের শাশ্বত বাণী। ধর্ম মানুষকে ন্যায় ও কল্যাণের পথ দেখায়। অন্যায় ও অসত্য থেকে দূরে রাখে। তিনি বলেন, শ্যামা পূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সামাজিক উৎসব। এই উৎসব বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। তৈরী হয় সামাজিক মেলবন্ধন।
বিসর্জন অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট বিকাশ রায়, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট তপন চন্দ্র দে, সাধারণ সম্পাদক উওম চক্রবর্তী রকেট, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট পীযুষ কান্তি সরকার ও কাজী আজাদ জাহান শামীম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম নূরুজ্জামান খোকন, সদ্য বিলুপ্ত পৌরসভার প্যানেল মেয়র, পুরুষ ও নারী কাউন্সিলর, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা, জেলা এবং মহানগর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নগরীর শ্যামা পূজার প্রতিমা বিসর্জনে এবার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন সিটি করপোরেশনের নবনিযুক্ত প্রশাসক ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইকরামুল হক টিটু। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা নেন। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রতিটি মণ্ডপে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। সংস্কার করা হয় নগরীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক। ব্যবস্থা করা হয় পর্যাপ্ত আলোর। নজরকাড়া থিমে সাজানো হয়েছিল ব্রহ্মপুত্র নদের বিসর্জন ঘাটকে। এর আগে প্রশাসক টিটু বিসর্জন ঘাট পরিদর্শন করেন।
সিটি করপোরেশনের স্যানিটারী ইন্সপেক্টর দীপক মজুমদার জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের বিসর্জন ঘাট দিয়ে এবার শ্যামা পূজার শতাধিক প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় এবার ভিন্নভাবে সাজানো হয়েছিল বিসর্জন ঘাট। কাচারীঘাটের মেন সড়ক থেকে নদী পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য মাটি কেটে বিকল্প সড়ক তৈরী, বিসর্জন ঘাট এলাকার মাটি লেবেল, বিসর্জন মঞ্চ তৈরী এবং পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়।
কনজারভেন্সী ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ মহব্বত আলী জানান, দুর্গোৎসবের মতো শ্যামা পূজা উপযাপনেও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। মণ্ডপ এলাকা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়েছে প্রতিদিনই।