হ্যাঁ; ময়মনসিংহেই এমন সৌন্দর্য্যপূর্ণ দর্শনীয় স্থান রয়েছে। ইচ্ছে করলে আপনিও খুব সহজে বেড়িয়ে আসতে পারেন এই মনোরম স্থানটি।
এই জায়গাটি বেশ কিছুদিন ধরেই হাইপড! তাই ঘুরে এলাম।
ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের একটি গ্রাম ছালড়া। এই জায়গাটা নিয়ে আমার বেশকিছুদিন ধরে কৌতুহল রয়েছে কেননা শুনেছি অনেকটা সুন্দরবনের মত বেতগাছ ও বাশবনের ভিতরে জোয়াড়ের মত পানি জমে থাকে সাথে সাথে বেত এবং বাশের কচিকান্ড অনেকটা সুন্দরবনের শ্বাসমূলের মত দেখা যায় তার সাথে রয়েছে শালবন,বিশাল কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন দিঘির সমন্বয়ে পুরো গ্রামটা চমৎকার একটা জায়গা পরিনত হয়েছে 😍
ছালড়া গ্রামটা আবহমান বাংলাদেশের চিত্রকে তুলে ধরে। গ্রামে ঢোকার পথে বিলের মাঝখান দিয়ে রাস্তা, গ্রামের মানুষের কর্মব্যস্ততা, শালবনের কাঠকুড়ানীদের কাঠ কুড়ানো, কৃষকের হাকডাক,বিলে জেলেদের মাছ ধরা, বিশাল বিশাল কয়েকটা দিঘি, বাশঁ ও বেতে বন( অনেকটা সুন্দরবনের মত দেখতে), সুন্দর একটা মসজিদ এবং কপাল ভালো থাকলে ঘোড়ার গাড়ি এবং দিঘিতে নৌকায় করে ঘুরে বেড়ানো যায়।
ময়মনসিংহ থেকে মুক্তাগাছা উপজেলার দূরত্ব ২০ কিলোমিটার এবং মুক্তাগাছা উপজেলা শহর থেকে ছালড়ার দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার।
কিভাবে যাবেন ছালড়া-
ময়মনসিংহের টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রান্তিক সুপার বাসে করে কালিবাড়ি বাজার (৩০টাকা)
অথবা প্রথমে সি এন জি ৩০ টাকাতে মুক্তাগাছা এরপর মুক্তাগাছা থেকে প্রান্তিক সুপার এর বাসে কালিবাড়ি বাজার(ভাড়া-১০ টাকা)…
আনন্দের সংবাদ হলো রিসেন্টলি ময়মনসিংহ থেকে মুক্তাগাছা বিআরটিসির দোতলা বাস সার্ভিস চালু হয়েছে যাতায়াত খরচ অনেক কম 😁
কালিবাড়ি বাজার চেচুয়া যাবেন.. বাজারের শুরুতেই ভ্যান পাবেন,ভ্যান ঠিক করেই কালিবাড়ি থেকে ছালড়া বাজার (১০/১৫ টাকা) যাবেন।
ছালড়া বাজারের রাস্তা দিয়ে ৪- ৫ মিনিট হাটতে শুরু করলেই আপনি পৌছে যাবেন.
খাওয়া দাওয়া-
ছালড়া বাজারে কনফেকশনারী দোকান, চায়ের দোকান এবং হোটেল রয়েছে,,হোটেলে ভাজাপুড়া ছাড়া কিছু পাওয়া যায়না,
কালিবাড়ি বাজারে ভাত সহ বিরিয়ানির হোটেল রয়েছে….
নিরাপত্তা- এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোন সমস্যা কেউ ফেস করেনি, তবুও যেহেতু বন এলাকা একটু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত!!
((ঘুরতে গিয়ে টিস্যুপেপার,পানির বোতল,খাবারের প্যাকেট যেখানে সেখানে ফেলবেন না,,
একটি প্রাইভেট ফার্ম এটি,এখানে এমন কিছু করবেন না যেন আপনার জন্যে তারা এখানে অবাধ বিচরন বন্ধ করে দেয়))
লেখা ও ছবিঃ Mohammad Sabbir Hossain। ট্রাভেল এন্ড প্লেস এর সৌজন্যে প্রকাশিত