ময়মনসিংহে চতুর্থ বিয়ে না করানোয় মায়ের সাথে অভিমানে আত্মহত্যা

বিয়েময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চতুর্থ বিয়ে করাতে রাজি না হওয়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে নাঈম (২২) নামে এক ‘বিয়েপাগল’ তরুণ নেশা জাতীয় ইঞ্জেকশন নেয়। এর পর পরই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বারবাড়িয়া ইউনিয়নের পাকাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি মারা যান। লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারবাড়িয়া গ্রামের জুলেন মিয়ার ছেলে রিকশাচালক নাঈম এর আগেও তিনটি বিয়ে করেছেন। একজন স্ত্রী তার সঙ্গেই থাকেন। বেশ কিছুদিন ধরে নাঈম পরিবারের কাছে তার চতুর্থ বিয়ের ইচ্ছা কথা জানায়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মায়ের সাথে নাঈমের বাক-বিতণ্ডা হয়। এতে অভিমান করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাঈম একসাথে নেশাজাতীয় তিনটি ইঞ্জেকশন নিলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা নাঈমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হয়। পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি মারা যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নাঈমের লাশ হাসপাতাল মর্গে রেখেছেন। অনেকেই বলছেন, তিনি আত্মহত্যা করতেই ইঞ্জেকশনগুলো নেন।

গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ অনুকুল সরকার বলেন, যেহেতু ময়মনসিংহে মারা গেছে তাই কোতোওয়ালী পুলিশ আইনগত পদক্ষেপ নেবে। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।

Share this post

scroll to top