একটি, টেস্টে একটি মাত্র জয়ের জন্য হাহাকার করছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই জয়ের দেখা পাচ্ছিলো না টাইগাররা। একের পর এক হারে হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছিল। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত সেই জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশ। এই জয় শুধু জয় নয়, এক ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানের জয়। সফরকারী জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে দীর্ঘ ৪৫০ দিন পর জয়োল্লাসে মাতলো বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা।
এই জয়ে অনেকটা অবদান রেখেছেন তরুণ নাঈম হাসান। তিনি একাই জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইন-আপ ধসিয়ে দিয়েছেন। শিকার করেছেন নয়টি উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি বেশি ভয়ঙ্কররুপে দেখা দেন। পাঁচটি উইকেট ঝুলিতে পুরেন। এর আগে প্রথম ইনিংসে শিকার করেন চারটি উইকেট।
তার সাথে ছিলেন অভিজ্ঞ তাইজুল ইসলাম। তিনি দুই ইনিংসে মোট ছয়টি উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে দুটি আর দ্বিতীয় ইনিংসে চারটি।
তবে বোলারদের লড়াই করার ভীত তৈরি করে দেন ব্যাটসম্যানরা। এর মধ্যে অন্যতম মুশফিকুর রহিম। তার অনবদ্য ২০৩ রানে বড় লিড পায় বাংলাদেশ। ৩১৮ বলের অপরাজিত ইনিংসে বাউন্ডারি হাঁকান ২৮টি।
মুশফিকের আগে সেঞ্চুরি হাঁকান টেস্ট স্পেশালিস্ট মুমিনুল হক। অধিনায়ক হিসেবে এটি তার প্রথম শতক।
এছাড়া অর্ধশত করেন লিটন দাস। আর ৪১ রান করেন তামিম ইকবাল।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টটি শুরু হয় শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। টস জিতে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশী বোলারদের তাণ্ডবে ২৬৫ রানে সব উইকেট হারিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে তারা।
পরে ব্যাট করতে নেমে মুশফিক-মুমিনুলের ব্যাটে ৫৬০ রানের বিশাল স্কোরের কল্যানে ২৯৫ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮৯ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এক ইনিংস ও ১০৬ রানের বড় জয় পায় বাংলাদেশ।