কোনো রকমে ইনিংস হারের লজ্জা এড়ালেও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়েলিংটন টেস্টের দৈর্ঘ্য চতুর্থ দিনের লাঞ্চ পর্যন্তও টেনে নিয়ে যেতে পারল না ভারত৷ তৃতীয় দিনের শেষে ম্যাচের গতিপ্রকৃতি যে দিকে মোড় নিয়েছিল, তাতে প্রথম টেস্টে ভারতের হার খানিকটা প্রত্যাশিত ছিল৷ তবে এভাবে আত্মসমর্পণ করে মাঠ ছাড়বে কোহলি অ্যান্ড কোং, সেটা অনুমান করা যায়নি৷
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৮৩ রানে পিছিয়ে পড়া ভারত তৃতীয় দিনের শেষে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান তুলেছিল৷ তখনো ইনিংস হার এড়াতে ভারতের দরকার ছিল ৩৯ রান৷ হাতে ৬টি উইকেট থাকায় মনে করা হচ্ছিল ভারত কিছুটা হলেও পালটা লড়াই চালাবে৷ তবে চতুর্থ দিনের সকালেই টিম ইন্ডিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৯১ রানে৷ অর্থাৎ ভারতের বাকি ৬ জন ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন ৪৭ রান যোগ করে৷
জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের সামনে মাত্র ৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা ঝুলিয়ে দেয় ভারত৷ শেষ ইনিংসে ১০ বল ক্রিজে কাটিয়েই কিউইরা জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়৷ সব মিলিয়ে ভারতের ১৬৫ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৪৮ রান তোলে৷ ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ১৯১ রানে৷ নিউজিল্যান্ড শেষ ইনিংসে ১.৪ ওভার ব্যাট করে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৯ রান তুলে নেয়৷
ভারতের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটের এই স্মরণীয় জয় নিউজিল্যান্ডের কাছে নিঃসন্দেহে মাইলস্টোনসূচক৷ কেননা টেস্ট ক্রিকেটে কিউইদের এটি ১০০তম ম্যাচ জয়৷ পাশাপাশি রস টেলরের ব্যক্তিগত মাইল ফলকও জয় দিয়ে উজ্জ্বল করে রাখে নিউজিল্যান্ড৷ এটি ছিল টেলরের কেরিয়ারের ১০০তম টেস্ট ম্যাচ৷
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল৷ অজিঙ্কা রাহানে করেন ২৯ রান৷ এছাড়া পৃথ্বী শ ১৪, চেতেশ্বর পূজারা ১১, বিরাট কোহলি ১৯, হনুমা বিহারী ১৫, ঋষভ পন্ত ২৫, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৪, ইশান্ত শর্মা ১২ ও বুমরাহ ০ রানে আউট হন৷ ২ রানে অপরাজিত থাকেন শামি৷
দ্বিতীয় ইনিংসে টিম সাউদি ৫টি ও ট্রেন্ট বোল্ট ৪টি উইকেট নেন৷ ১টি উইকেট কলিন ডি’গ্র্যান্ডহোমের৷ শেষ ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের হয়ে টম লাথাম ৭ ও টম ব্লান্ডেল ২ রান অপরাজিত থাকেন৷ দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯টি উইকেট নেয়া সাউদি ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন৷