কোন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা পদত্যাগ করছেন?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার টেকনোক্র্যাট সদস্যদের পদত্যাগ করার নির্দেশ দেয়ার পর কারা পদত্যাগ করছেন তা নিয়ে জোরেশোরে আলোচনা শুরু হয়েছে। বর্তমান মন্ত্রীসভায় কতজনই বা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী আছেন। কারাই বা সেই টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী?

বর্তমান মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

মন্ত্রিসভার টেকনোক্র্যাট সদস্যদের পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত সভায় টেকনোক্র্যাট সদস্যদের (যারা জাতীয় সংসদের সদস্য নন) পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে এই সভা হয়।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে না কি সামান্য আগে নির্বাচনকালীন ছোট মন্ত্রিসভা করা হবে, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনার মধ্যেই এ নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ৭ নভেম্বরের পর কারো সাথে আর সংলাপের সুযোগ নেই। সংলাপ শেষে ৮ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবারের মন্ত্রিপরিষদের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাদের।

এর আগে সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপে যুক্তিসঙ্গত কোনো প্রস্তাব থাকলে আলাপ-আলোচনা করে মেনে নেয়া হবে।

তিনি বলেন, সংলাপের মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের কিছু কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা হলে অনেক কিছুই আমাদের সীমানায় থাকবে না।

কাদের আরও বলেন, আলোচনায় তারা (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) যে দাবি জানিয়েছেন আমরা তার দুই-তিনটি মেনে নিয়েছি। আলোচনার ‘ওয়ার্নিং এ স্পিস’-এ আমরা কোনো কোনো বিষয়ে ঐক্যমত হতে পারি তা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে পরিষ্কার করা হয়েছে।

আমরাও বলেছি, এই এই বিষয়ে দাবি মানতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিছু কিছু বিষয় আছে, তা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। যেমন বিদেশি পর্যবেক্ষক। এ বিষয়ে ইলেকশন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এখানে সরকার কোনো বাধা দেবে না।

তিনি বলেন, আরেকটা আছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সেটাতো আমরা বলেছি। আমরা কোনো মন্ত্রী সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা নেব না। এমনকি মন্ত্রীরা ফ্লাগ ইউজ করবে না।

তবে নিরাপত্তার বিষয়টি ব্যতিক্রম। কারণ একজন মন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয় থাকে। সেটা থাকবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও থাকবে। কারণ মন্ত্রীরা ফ্লাগ নিয়ে গেলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপের বিষয়ে আমরা এখন কোনো ঘোষণা দেব না। সংলাপের বিষয়গুলো সারসংক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী সংলাপের ফলাফল জাতির উদ্দেশ্যে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দেবেন। আগামী ৮ বা ৯ নভেম্বর এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top