বাকৃবি প্রতিনিধি : অমর শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ফুল উধাও এবং ফুল দেওয়া নিয়ে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন চত্তরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শহীদ মিনার ও সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। এছাড়াও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি, শিক্ষক সমিতি ও শাখা ছাত্রলীগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। পরে সকাল ৭ টায় প্রভাত ফেরি বের করে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা যায়, ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন চত্ত¡রে অর্পণের কিছুক্ষণ পরেই পুষ্পস্তবকগুলো কে বা কারা সেগুলো সরিয়ে নেয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একই ফুল দিয়ে আবারও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে কিনা এ বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।
এদিকে ২১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকালে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিশ^বিদ্যালয় বিভিন্ন সংগঠনের তালিকা করা হলেও নিয়ম এবং ক্রমের তোয়াক্কা না করায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এসময় বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও ছাত্র সংগঠনগুলোকে হেয় করা হয়েছে বলে জানান তারা। পরে সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কনফারেন্স হলে ‘ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যবস্থাপনার সমালোচনা করেন।
এ বিষয়ে বাকৃবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি গৌতম কর বলেন, মহান শহীদ দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করা উচিত। জাতীয় দিবস গুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগের ঘাটতি থাকায় বরাবরই বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে। এছাড়াও বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলোকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না যা গণতান্ত্রিক পরিবেশের পরিপন্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির বলেন, শহীদ মিনারে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। কোনো অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি।