আজ তিনি বিশ্বের প্রথম সারির স্পিনারদের একজন। ভারতে তর্কাতীতভাবে অন্যতম সেরা অফস্পিনার। তবে অশ্বিনের এই ক্রিকেট খেলার জন্য প্রাণসংশয় পর্যন্ত হয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি।
একসময় তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। আঙুলও কেটে ফেলা হতো। বলা হয়েছিল, ফাইনালে যদি অংশ নেন তাহলে সমস্যা রয়েছে। সম্প্রতি ক্রিকবাজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রবিচন্দ্রন অশ্বিন সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানিয়েছেন, “আমাদের একটা টুর্নামেন্টে ফাইনালে খেলার কথা ছিল। সেই ম্যাচ খেলার জন্য আমি যখন সবে যাত্রা শুরু করব, সেই সময়ে চার-পাঁচজন ছেলে রয়্যাল এনফিল্ড করে এসেছিল। তারা পেশিবহুল এবং প্রকাণ্ড আকৃতির।”
অশ্বিন বলতে থাকেন, “ওরা আমাকে গাড়িতে বসিয়ে বলে এবার যেতে হবে। আমি পাল্টা জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কোথায়? ওরা বলেছিল, তুমি আজকে ম্যাচ খেলছ, তাই তো? আমি ভেবেছিলাম, দারুণ বিষয় তো! ওরা হয়তো আমাকে পিক আপ করার জন্য এসেছে। রয়্যাল এনফিল্ডে চাপতেও ভালো লেগেছিল। তবে ঘটনা হলো, দু-জনের পিছনে আমি বসার পরে আমারও পিছনে একজন এসে বসেছিল। আমি ওদের মাঝে পুরো স্যান্ডউইচ হয়ে গিয়েছিলাম।”
সেই অভিজ্ঞতা আরো শেয়ার করে অশ্বিন বলেন, “আমি তখন ১৪-১৫ হবে। ওরা আমাকে একটা দামি চায়ের দোকানে নিয়ে যায়। চেন্নাইয়ে চায়ের দোকান সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে। প্রত্যেক মাঠের সঙ্গে একটা চায়ের দোকান থাকে। সেখানে বেঞ্চে বসে রীতিমতো আড্ডার বন্দোবস্ত থাকে। ওরা আমাকে একটা বেঞ্চে বসিয়ে বাজ্জি, বড়া অর্ডার করেছিল। আমাকে বলেছিল, ভয় পেয়ো না, তোমাকে আমরা সাহায্য করতে এসেছি।”
কীভাবে, সেই ঘটনাই পরে ব্যক্ত করেছেন তারকা স্পিনার, “বিকেল ৩.৩০-৪ টা হবে, আমি বলেছিলাম, ম্যাচ শুরু হতে চলেছে। এবার যাওয়া যাক। সেই সময়ে ওরা বলে, আমরা আসলে প্রতিপক্ষ দলের। তুমি যাতে খেলতে না পারো, সেই জন্য তোমাকে ধরে আনা হয়েছে। যদি তুমি গিয়ে এই ম্যাচে খেল, তাহলে আমরা তোমার আঙুল কেটে ফেলব।”
যাইহোক, অশ্বিন বর্তমানে জাতীয় দলের জার্সিতে আসন্ন টেস্ট খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিউজিল্যান্ড একাদশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচেও অংশ নিয়েছেন। ৪৬ রানের বিনিময়ে অশ্বিন ১টা উইকেটও দখল করেছেন হ্যামিল্টনে। ইশ সোধিকে আউট করেছেন তিনি।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস