রবিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১৪ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া অফিসার মোঃ হাফিজুল ইসলাম বাবু।
তিনি গনমাধ্যমকর্মীদের জানান, র্যাব-১৪ এর সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তদারকী করে ভূয়া প্রশ্নপত্র ফাসেঁর আদান-প্রদান চক্রের একটি দলকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন এ্যাপস যেমন ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রাম প্রভৃতি ব্যবহার করে বিভিন্ন গ্রুপ খুলত। মূলত ফেইসবুক ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন পরীক্ষার পূর্বে পরীক্ষার্থীদের সনাক্ত করে প্রশ্নপত্রের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে এ্যাড করেন। সে সব গ্রুপে তারা ভূয়া প্রশ্নপত্রের প্রলোভন দেখিয়ে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে তাদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করত। পরবর্তীতে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাদের অবস্থান সনাক্ত করে র্যাব-১৪, সিপিসি-১,।
তিনি আরও জানান, পরে রবিবার (৪ নভেম্বর) সকালে জামালপুর কোম্পানী কমান্ডারের নেতৃত্বে একটি চৌকস আভিযানিক দল শেরপুর সদর থানার কামারেরচর বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। তখন ওই এলাকার জনৈক মোঃ কামাল (২৪) নামের এক ব্যাক্তির এ্যালুমিনিয়ামের দোকানের সামনে থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসেরর ৪ প্রতারক চক্রের সদস্যকে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভূয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করে এবং তারা প্রায় দেড় বছর যাবৎ এই প্রতারণার সাথে জরিত আছে বলে জানান। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৩ এবং ৩৫ ধারা মোতাবেক শেরপুর জেলার সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও র্যাবের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।