জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনসহ শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারে ৫ দফা দাবি জানিয়েছে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ’। রোববার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তারা এ দাবি জানায়।
মানববন্ধনে সংগঠনের আহ্বায়ক মিনা আল আমিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে সমাবর্তন একজন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষা পরবর্তী সবচেয়ে বড় উপহার। ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে চলে আসছে। বারবার প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষার মান নিয়ে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা পদ্ধতি সংস্কার না হওয়ায় শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেননা বাজেটের শতভাগ যে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় হয় না তা তদন্তের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, স্নাতক পড়ুয়া ৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থী কতটা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে তা জানতে হলে আরো কিছু তথ্য আপনাদের জানা দরকার। বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী প্রতি বার্ষিক ব্যয় প্রায় ৪ লাখ টাকা। আর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতি এই ব্যয় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী প্রতি বাষিক ব্যয় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৯০২ টাকা।
তিনি বলেন, অথচ একই দেশ কত বিচিত্র। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গবেষণায় যেভাবে বরাদ্দ পাচ্ছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষকদের সে সুযোগ নেই। প্রায় ১৭ শতাংশ শিক্ষক পদ শূন্য। কোনো কোনো কলেজে সেটা ৫০ ভাগ।
মানববন্ধনে তারা বৈষম্য দূর ও দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার লক্ষ্যে সমাবর্তনসহ শিক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন। তাদের ৫ দফা দাবি হচ্ছে-
১. প্রতিবছর নিয়মতান্ত্রিকভাবে সমাবর্তন আয়োজন করতে হবে।
২. কলেজগুলোতে সরকার নির্ধারিত ফি-এর অতিরিক্ত আদায় করা যাবে না।
৩. সকল বিভাগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক ব্যবহারিক কোর্স চালু এবং গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৪. মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষক ও ক্লাসরুম সংকট দূর করতে হবে।
৫. কলেজগুলোকে শুধু সনদ প্রাপ্তির কেন্দ্র না করে সংস্কারের মাধ্যমে কর্মমুখী শিক্ষা পদ্ধতি চালু করতে হবে।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ’র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, সাব্বির রহমান, আহমেদ সৈকত ফারাবী, মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ, নাদিয়া আক্তার প্রভা, ইসরাত জাহান এশা প্রমুখ।