জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ছিল মাত্র ১ রান। দু’দলেই উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। ব্যাট হাতে আছেন বাংলাদেশের দুই তরুণ। আর বোলিংয়ে ভারত। বলা হচ্ছে, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের কথা। স্ট্রাইকে থাকা রকিবুল হাসান তখন ব্যাট চালিয়ে জয়সূচক রানটি তুলে নেন। আর সাথে সাথে মাঠের বাইরে থাকা জুনিয়র টাইগাররা ছুটে এসে বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়েন। কিন্তু এই উদযাপনে ক্ষুদ্ধ হয় ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ফলে তর্কাতর্কি এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে বাংলাদেশ অধিনায়ক ‘দুঃখিত’ বললেও, ভারত অধিনায়ক পুরো দোষ প্রতিপক্ষের ওপর চাপিয়েছেন। কিন্তু সাবেক দুই ভারতীয় অধিনায়ক এ ঘটনাকে ‘ভদ্রতার সীমা লঙ্ঘন’ হিসেবে দেখছেন। নিজ দেশের ক্রিকেটারদের কঠিন শাস্তির দাবি করেছেন তারা।
ওই দিন ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের বেশ কিছু ক্রিকেটার কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ম্যাচ শেষে কয়েক দফায় হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পরেন তারা। পরে দুই দলের কোচিং স্টাফ ও আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তরুণ খেলোয়াড়দের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভারতের সাবেক দুই অধিনায়ক কপিল দেব ও মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। দু’জনেই বিসিসিআইয়ের কাছে তরুণ খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
এক সাক্ষাৎকারে আজহারউদ্দিন বলেছেন, তিনি হলে উচ্ছৃঙ্খল খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতেন। সেই সাথে দলের কোচিং স্টাফরা ক্রিকেটারদের কী শেখাচ্ছেন, সে ব্যাপারেও জানতে চাইতেন।
তার সাথে একমত হয়েছেন কপিল দেব। বলেছেন, ভারতীয় বোর্ড যেন অভিযুক্ত খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়। ক্রিকেট মানে বিপক্ষকে ছোট করা নয়। ফাইনালে যা হয়েছে তাতে বিসিসিআইয়ের অবশ্যই কিছু করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘আগ্রাসন অবশ্যই ভাল। কিন্তু সেটা যেন নিয়ন্ত্রিত হয়। অতিরিক্ত আগ্রাসন দেখাতে গিয়ে ভদ্রতার সীমাটা যেন লঙ্ঘিত না হয়।
এদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা- আইসিসি’র নিয়মবিধি লঙ্ঘনের জন্য বাংলাদেশের তিনজন এবং ভারতের দু’জনকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। তারা হলেন বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন, রাকিবুল হাসান এবং ভারতের আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণোই।