ময়মনসিংহের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিসি বরাবর দুদকের চিঠি

ময়মনসিংহ লাইভ ডেস্ক : দুদক এনর্ফোসমেন্ট ইউনিটে দেয়া বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণর্পূবক প্রতিবেদনের মাধ্যমে কমিশনকে অবহিত করার নিমিত্ত ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছে দুদক এনর্ফোসমেন্ট ইউনিট। দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়। ময়মনসিংহসহ আরো ৯ জেলার প্রশাসক বরাবরও চিঠি দেয়া হয়েছে। অন্যান্য জেলাগুলো হলো খুলনা, বরিশাল, বগুড়া, ভোলা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ ও নওগাঁ বরাবর পত্র।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ (৯ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে দুর্নীতিবিরোধী ৪টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়া ৯টি দফতরে অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে চিঠি দেয় দুদক।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সিস্টেম লস এক বছরে প্রায় পাঁচগুণ বেড়ে যাওয়া, নতুন সংযোগ দেয়া বন্ধ থাকলেও তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থানে নতুন সংযোগ প্রদানসহ নানাবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী পরিচালক আফরোজা হক খান এবং উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শিহাব সালামের সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম আজ (রোববার) তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ে একটি অভিযান পরিচালনা করে।

এসময় দুদক টিম তিতাসের কর্তৃপক্ষের কাছে ইতোপূর্বে দুদক কর্তৃক দুর্নীতির যেসব সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছিল তার আলোকে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা জানতে চায়। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানায় যে, দুদকের সুপারিশের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে প্রায় ৯০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। তবে বদলি হওয়া বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা-কর্মচারী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে ও তদবিরের মাধ্যমে আগের সুবিধাজনক পদে পুনরায় ফিরে আসার জন্য চেষ্টা করছেন বলে এনফোর্সমেন্ট টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়। এর প্রেক্ষিতে বদলি বাণিজ্য রোধে কঠোর পদক্ষেপের জন্য তিতাস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানায় দুদক টিম।

অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের ব্যপারে জানা যায় যে, বনানীর হোটেল গোল্ডেন টিউলিপে দুদক অভিযান করার পরে হোটেল কর্তৃপক্ষকে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং হোটেলের গ্যাস সংযোগ স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা বকেয়া বিল আদায়ের লক্ষ্যে তিতাস গ্যাসের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তারা জানায়।

ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে জন্মনিবন্ধন সনদ বিক্রি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-২-এ একটি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় এবং এ বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) একটি মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানা যায়।

জানা যায়, দুই মাস যাবত এলপিসি প্রদান না করে হয়রানি করার অভিযোগে ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিলাম বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে জলমহাল ইজারা দেয়ার অভিযোগে যথাক্রমে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় দিনাজপুর ও সিলেট হতে আরও দুইটি (২টি) অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

Share this post

scroll to top