প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৬ হাজার প্রার্থীর নিয়োগ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অথচ এই অবস্থায় নতুন করে আরো ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার দেয়ার চিন্তা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন ইতোমধ্যে নতুন করে এই শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার জারির ঘোষণাও দিয়েছেন। তবে দেশের ২৬ জেলায় প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ স্থগিত করেছেন আদালত।
এই স্থগিতাদেশ বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা চাইবে ডিপিই। আজ রোববার থেকে আইনজীবীদের সাথে নিয়ে আপিল আবেদনের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করবে সংস্থাটি। দুয়েক দিনের মধ্যে আপিলের সব কাগজপত্র আদালতে জমা দেবে তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিকে উত্তীর্ণ ১৬ হাজার প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় ডিপিই। এ জন্য সংস্থাটি উচ্চ আদালতের নির্দেশনা চেয়ে আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও দুই সপ্তাহ আগে প্রাথমিকের এই শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটার যথাযথ অনুসরণ হয়নি এমন অভিযোগ এনে আদালতের নির্দেশনায় ২৬ জেলায় শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত হয়েছে।
অন্য দিকে ডিপিই আগামী রোববারের (১৬ ফেব্রুয়ারির) মধ্যে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে নিজ নিজ জেলা শিক্ষা অফিসকে নির্দেশনা দিয়েছে। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসে প্রার্থীদের যোগদানপত্র জমা দেয়ারও সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
এ দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আদালতের স্থগিতাদেশ পাওয়া জেলাগুলোর পক্ষে সমন্বিতভাবে আপিল করবে ডিপিই। নওগাঁ জেলার স্থগিতাদেশ অবশ্য ইতোমধ্যে প্রত্যাহার হয়েছে। সেখানে শিক্ষক নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই। একইভাবে অন্যান্য জেলায়ও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য দুয়েক দিনের মধ্যেই আবেদন করা হচ্ছে।
ডিপিইর সহকারী পরিচালক মো: আতিক এস বি সাত্তার নয়া দিগন্তকে বলেন, আপিলের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আইনজীবীদের সাথে বসে শিগগির আমরা উচ্চ আদালতে যাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, নিয়োগবিধি অনুসরণ এবং কোটার শর্ত পূরণ করেই সব সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নিয়োগবিধির কোনো লঙ্ঘন হয়নি। এ বিষয়ে আমাদের কাছে সব তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। তিনি আশা করছেন সব জেলায় নিয়োগে স্থগিতাদেশও আপিল বিভাগে বাতিল হবে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকের সঙ্কট রয়েছে। আমরা চাই দ্রুততম সময়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হোক। আমরা আশা করছি আপিলের মাধ্যমে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ পরীক্ষায় নির্বাচিতদের নিয়োগ দেয়া যাবে। এ নিয়ে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হবে না।