স্টাফ রিপোর্টার : জামালপুর পৌর শহরের কম্পপুর এলাকায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার পর প্রতিবাদ করায় ওই পরীক্ষার্থী ও তার মাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রীর মা আহত অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বড় ভাই বাদী হয়ে শনিবার বিকেলে জামালপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
ওই ছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে ওই ছাত্রী। কয়েক বছর ধরে কম্পপুর এলাকার রসুল ফকিরের ছেলে মো. সুজন আহমেদ (২৩) স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন। অতিষ্ঠ হয়ে ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ জামালপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছিল ওই ছাত্রীর পরিবার। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ওই ছাত্রী এক আত্মীয়ের বাসা থেকে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় পথ আটকে তাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন সুজন। এর প্রতিবাদ করলে সুজন ওই ছাত্রীকে চড় মারেন। বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানালে ছাত্রীর মা সুজনের বাড়িতে যান। এ সময় সুজন ছাত্রীর মাকেও মারধর করেন। এতে তিনি আহত হলে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ওই ছাত্রীর মা বলেন, ‘বখাটে সুজন আমার মেয়ের জীবনটা অতিষ্ঠ করে তুলেছে। মেয়েটা যেখানেই যেত, সুজন সেখানে গিয়েই উত্ত্যক্ত করত। মেয়েটা এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে, তার পরও কেন্দ্রে আসা-যাওয়ার পথে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে প্রকাশ্যে মারধর করেছে। কারণ জানতে আমি সুজনের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এ সময় সে ও তাঁর বাড়ির লোকজন আমাকেও মারধর করে।’
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।