ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের ২৭তম ওভারের খেলা চলছিল। বল হাতে ছিলেন রবিন্দ্র জাদেজা। স্ট্রাইকে কিমো পল। উইকেটের পেছনে মহেন্দ্র সিং ধোনি। ওভারের শেষ বলটি ছুঁড়তেই পলের ব্যাট ছুঁয়ে ধোনির গ্লাভসে যেতেই বিদ্যুৎ গতিতে স্ট্যাম্পিং! হতবাক পল। বোলার জাদেজাও। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী ধোনি হাসছেন। কাজ যা করার তিনি করে ফেলেছেন। রিভিউতে সে হাসির প্রতিফলনই হলো। আউট পল।
এক সেকেন্ডও নয়। আধা সেকেন্ডও নয়। স্ট্যাম্প করতে ভারতের সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার সময় নিলেন মাত্র ০.০৮ সেকেন্ড। চোখের পলক ফেলার সময়ও দেননি, তার মধ্যে বল পিক করে উইকেট ভেঙ্গে পলকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠালেন ধোনি। মুম্বাইয়ের ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে ধোনির এই স্ট্যাম্পিংয়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট হতেই ভাইরাল।
এর মধ্যদিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবচেয়ে দ্রুত গতির স্ট্যাম্পিংয়ের রেকর্ড গড়ে ফেললেন ধোনি।
উল্লেখ্য, আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ধোনিকে দলে রাখা হয়নি। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ধোনিকে বিশ্রাম দেয়া হচ্ছে। কিন্তু পরে এমনও শোনা যায়, ধোনিকে আসলে ইচ্ছাকৃতই বাদ দেয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে ঋষভ পন্থকেই সুযোগ দেয়ার কথা ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে বলেও খবর রটে। এমনও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও হয়ত বাদ দেয়া হতে পারে ধোনিকে। আর সে কারণেই অস্ট্রেলিয়া সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাকে বাদ দিয়ে একটা বার্তাও দিয়ে রাখা হলো ধোনিকে।
অনেকে এও ভাবতে শুরু করেছে, ধোনির টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারটাই হয়ত শেষ। তবে ধোনির ক্যারিয়ার নিয়ে এখনই নেতিবাচক কোনো মন্তব্য শোনা যায়নি ভারতীয় দলের নির্বাচকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে। বরং এমএসকে প্রধান এমএসডি নিয়ে এখনও আশাবাদী।
কিন্তু এটাও ঠিক, ভারত এখন চাচ্ছে দলে একজন ব্যাটসম্যান-উইকেট কিপার থাকুক। যিনি ব্যাটে ভারতকে বেশি সাহায্য করতে পারবে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে সাম্প্রতিক সময়ে ধোনি উইকেটের পিছনে প্রশ্নাতীত হলেও ব্যাটিংয়ে তেমনভাবে নজর কাড়তে পারেননি। এমনকি আইপিএল-এও যে ফর্মে তিনি ছিলেন, তার ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না আন্তর্জাতিক সার্কিটে। এমন অবস্থায় দুটি বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের উপর যে চাপ বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক।
তবে ধোনি অনুরাগীরা মনে করছেন, সমালোচনাকদের খুব শিগগিরই জবাব দেবেন ধোনি। কেবল সুযোগের অপেক্ষা। অনেকেই বলছেন, ব্যাটে খরা থাকলেও উইকেটের পিছনে নিজের কাজটা করে যাচ্ছেন নেপথ্য নায়কের মতো। ফ্যানদের কাছে উইকেটকিপার ধোনির কোনো তুলনাই নেই। তাদের দাবি, ডিআরএস কল এবং প্রয়োজনে বিরাটকে গাইড করার ক্ষমতা, যা কেবল ধোনির মধ্যে রয়েছে তা এই মুহূর্তে আর কোনো ক্রিকেটারেরই নেই।
দেখে নিন ধোনির সেই বিদ্যুৎ গতির স্ট্যাম্পিং-