তানিউল করিম জীম : আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী, বিশিষ্ট উদ্ভিদ প্রজননবিদ ও কৃষিবিদ ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) প্রশাসন ও সাপোর্ট সার্ভিসের পরিচালক পদে নিযুক্ত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি দ্বায়িত্বভার গ্রহণ করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক তিনি নিয়োগ লাভ করেন।
এর আগে তিনি বিনার বায়োটেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে প্রায় ৫ বছর এবং উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বায়োটেকনোলজি গবেষণাগারকে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া তিনি সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ, সভা ও প্রকল্পের গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্কসহ ১৫টি দেশ ভ্রমণ করেন। তিনি জাতিসংঘের আইএইএ এর অধীনে শ্রীলংকা, মায়ানমার ও সিয়েরা লিওনে পরমাণু কৃষি গবেষণায় কনসালট্যান্ট/বিশেষজ্ঞ হিসেবেও কাজ করেছেন।
ড. মির্জা তার গবেষণার মাধ্যমে এ পর্যন্ত অনেকগুলো ধানের জাত উদ্ভাবন করেন। তার উদ্ভাবিত উল্লেখযোগ্য জাতসমূহ – লবণাক্ততা সহিষ্ণু বিনাধান-১০, জলমগ্নতা সহিষ্ণু বিনাধান-১১ ও বিনাধান-১২, সার ও পানি সাশ্রয়ী উচ্চ ফলনশীল জাত বিনাধান-১৭ (গ্রীন সুপার রাইস)। এছাড়া তিনি অন্যান্য ফসলের মোট ২২টি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেন।
তিনি তাঁর গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘেরি এফএও-আইএইএ অস্ট্রিয়া হতে আউটস এসিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচার কর্তৃক সুপ্রিম সিড স্বর্ণপদক, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটি(ইরি) কর্তৃক Bill and Melinda Gates Foundation এর অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পে লবণ ও বন্যা সহিষ্ণু ধান উদ্ভাবনে অনন্য অবদান রাখায় ভারতের নয়াদিল্লীতে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্টসহ বিভিন্ন পদকে ভূষিত হন।