স্বর্ণের চেইন চুরির অপবাদে মেয়েকে হত্যার পর অন্তঃসত্ত্বা মায়ের আত্মহত্যা

যশোরের শার্শা লক্ষনপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে সোনার চেইন চুরির অপবাদে ০৮ মাসের গর্ভবতী মা ও মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রথমে তার মেয়ে আমেনা খাতুনকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে পরে নিজে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে রোববার সকাল ১০টার সময় নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন।

নিহতরা হলো রামচন্দ্রপুর গ্রামের আল-মামুনের স্ত্রী জুলেখা খাতুন(২৫) তার মেয়ে আমেনা খাতুন(৫)।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে আল মামুনের মেয়ে বাড়ির পাশে আলাউদ্দিনের দোকানে গেলে তার মেয়ে জুলি গলায় স্বর্ণের চেইন নিজের বলে ছিনিয়ে নেয়। এতে মেয়েটি বাড়ি এসে তার মাকে বললে তার মা বিষয়টি নিয়ে আলাউদ্দিনদের কাছে গিয়ে প্রতিবাদ করলে তাকে লাঞ্চিত ও অপদস্ত করে। পরে বাড়ি এসে নিজের ঘরের মধ্যে নিজ হাতে মেয়েকে শ্বাসরোধ করে এবং নিজে গলায় শাড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।

নিহতের স্বামী বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় আজ সকালেও সে নিজের হাতে আমাকে খাবার খেতে দেয়। খাওয়ার পর কাজে গেলে বাড়ির লোকজনের মাধ্যমে খবর পাই, খবর পেয়ে এসে দেখি মেয়ের মা ও মেয়ের লাশ পড়ে আছে। কেন এ কাজ করলো সে? আমি কখন ভাবতে পারি না এমন ঘটনা ঘটাবে সে।

সীমা খাতুন জানান, সকালে ভাবি আমার ভাইয়ের কাজে যাওয়ার গোছগাছ করে দিলে কাজে চলে যায়। কিছু পরে ভাবিকে ডাকতে থাকলে কোন সাড়া পাই না। এসে দেখি ঘরের দরজা ভেতর থেকে দেয়া। পাশের জানলা দিয়ে দেখতে পাই ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে। পরিবারের লোকজন নিয়ে দরজা ভেঙ্গে দেখি পাশে মেয়েটারও নিথর দেহ পড়ে আছে।

শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতাউর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেম রির্পোটের জন্য যশোর ২৫০ বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আটকৃতরা হলো আলাউদ্দিনের স্ত্রী ও কন্যা জুলিকে এবং নিহতের স্বামী আল-মামুন।

Share this post

scroll to top