বহুল আলোচিত ৩দফা পাকিস্তান সফরের প্রথম দফা অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলের বিমান ভাড়া গুনতে হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। তাই দ্বিতীয় দফায় ভিন্ন পথে পাকিস্তান যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। এতে সময় বেশি লাগলেও খরচ কমে আসবে অনেক।
২২ জানুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ‘মেঘদূত’ উড়োজাহাজে পাকিস্তানে যায় বাংলাদেশ দল। একই বিমানে সোমবার দিবাগত রাতে দেশে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহরা। বাংলাদেশ বিমানের যে ভাড়া করা উড়োজাহাজ ব্যবহার করেছে বিসিবি, সেটির ধারণক্ষমতা ছিল ১৬২ জন। যাওয়া-আসায় বিসিবিকে গুনতে হয় প্রায় দেড় লাখ মার্কিন ডলার (১ কোটি ২৭ লাখ টাকা)। ভাড়া করা উড়জাহাজে যাতায়াত করায় ক্রিকেটারদের ঝক্কি যেমন কমেছিল, সময়ও বেঁচেছিল অনেক।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আবার পাকিস্তানে যাবে বাংলাদেশ দল। এবার কাতার এয়ার ওয়েজের ফ্লাইটে। রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্ট শুরু ৭ ফেব্রুয়ারি। দোহায় যাত্রা বিরতি দিয়ে প্রায় ১২ ঘণ্টার বিমানভ্রমন শেষে বাংলাদেশ দল ইসলামাবাদে পৌঁছাবে স্থানীয় সময় সকাল ৮টায়। এরপর ইসলামাবাদ থেকে রাওয়ালপিন্ডির দূরত্ব ৩০ মিনিটের। টেস্ট শেষে বাংলাদেশ ঢাকায় রওনা দেবে ১২ ফেব্রুয়ারি। কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে যাওয়া-আসার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান, ‘এবার ভাড়া করা বিমান নয়, দল যাবে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে।’
পাকিস্তান সফরের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে আকরাম জানালেন, বেশিরভাগ সময়ই তাঁদের কেটেছে হোটেল আর মাঠে। বিসিবি যে তালিকা পাঠিয়েছিল পিসিবিকে, তাঁদের কারও হোটেল আর মাঠের বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। দলের একাধিক ক্রিকেটারও বলেছেন একই কথা। খুব একটা ঘোরাঘুরি সুযোগ না থাকলেও সামগ্রিকভাবে নিরাপত্তা নিয়ে খেলোয়াড়েরা সন্তুষ্ট। অতৃপ্তি একটাই—ব্যর্থতা নিয়ে ফিরতে হয়েছে দেশে।